প্রকাশিত: ৪:৫৮ অপরাহ্ণ, জুন ৯, ২০২৪
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মাহবুবুর রহমান বলেছেন- একটা সময় মনে করা হতো বিদেশে পড়তে যাওয়া মানে হচ্ছে মেধা পাচার কিংবা “ব্রেন ড্রেইন”, কিন্তু বিশ্বায়নের এই যুগে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে গ্লোবাল সিটিজেন হওয়ার জন্য বিদেশে পড়তে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই। তবে, বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন করে দেশে ফিরে এসে তা দেশের কাজে লাগানো উচিত।
এ সময় তিনি জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা এবং চাকরি বিষয়ক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েও আলোচনা করেন।
শনিবার (৮ জুন) জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন স্ট্যাডি এন্ড ক্যারিয়ার কোচ জার্মানি (এসসিসিজি) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় জার্মান হায়ার স্টাডি সামিট।
এই অনুষ্ঠানে পরিণত হয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তরুণদের মিলনমেলায়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং বোটানি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান।
এসসিসিজি এর সহপ্রতিষ্ঠাতা রবিউল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ সাফিয়া গাজী রহমান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্হিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপিকা ড. তাহমিনা ইসলাম, চুয়েটের মেকানিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম সায়েম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শ্যামল কর্মকার।
স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় বিদেশ গিয়ে দেশের মানচিত্রকে ধারন করাটা কতটা গৌরবের তা তুলে ধরেন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সাফিয়া গাজী রহমান তার বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন “আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য ছাড়াও জার্মানিতে পড়তে যাওয়া বেশ গর্বের এবং এইদেশে সুযোগ সুবিধা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আরো জানা উচিত”। ভারত ও জার্মানিতে গবেষনায় অভিজ্ঞতা নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বোটানি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং এসসিসিজি’র সিনিয়র ক্যারিয়ার এক্সপার্ট ড. তাহমিনা ইসলাম তার শিক্ষাজীবন এবং গবেষনার গল্পে তার সফলতার পিছনে নেটওয়ার্কিং তাৎপর্য তুলে ধরেন ।
অনুষ্ঠানে জার্মানীতে পড়াশুনা এবং চাকরি করতে যাওয়ার জন্য প্রবাসীদের সংগঠন এসসিসিজি কিভাবে সহযোগিতা করবে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রবিউল এইচ চৌধুরী। জার্মানিতে বসবাসরত বিভিন্ন সেক্টরের ৩৫ জন বাংলাদেশী ক্যারিয়ার এক্সপার্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করা এসসিসিজি হতে অনলাইনে সেবা নিতে পারবে যে কেউ।
অনু্ষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চবি অধ্যাপক ড. তাপস কুমার ভৌমিক, ইউএসটিসির ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব, জয়শ্রী দাশ ও কামিরুল হাসান, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সঞ্জয় বিশ্বাস ও সাইফুদ্দীন মুন্না, ইউসিটিসি’র সহযোগী অধ্যাপক মাইমুনা খাতুন বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রিদোয়ান হক ও ইয়াসির সিলমী, আন্তজার্তিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুল, হুইজ কমিউনিকেশন্সের পরিচালক কাজী আরফাত, ডি ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সৌমেন কানুনগো, টিম চিটাগং-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা জহির রায়হান ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্বনাম প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিবর্গ এবং ইয়্যূথ লিডারবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কেক কেটে অতিথিবৃন্দ বাংলাদেশে এসসিসিজি এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম ঘোষনা করেন।