প্রকাশিত: ৩:৩১ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২৪
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
মিয়ানমারের আর্মি ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি যদি বাংলাদেশের দিকে গুলি চালায় তাহলে পাল্টা গুলি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন-মিয়ানমার আর্মি ও আরাকান আর্মিকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তারা যাতে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজকে লক্ষ্য করে আর গুলি না চালায়। তা না হলে আমরাও পাল্টা গুলি চালাবো।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যতদূর শুনেছি, আরাকান রাজ্যে আরাকান আর্মি অনেক এলাকা দখল করে নিয়েছে। সেজন্য মিয়ানমারের যে বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) তারা আত্মরক্ষার্থে আমাদের এলাকায় পালিয়ে আসছে। কাজেই সেখানকার অবস্থা কী, সেটা আমরা বলতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি, তারা মাঝে মাঝে ভুল করে আমাদের বিজিবির দলের ওপর গুলি করেছিল। তাদের সেটা জানিয়েছি। তারা বলেছে, সুনির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশের পতাকা যেন উড়িয়ে যায়, তাহলে আর কেউ গুলি করবে না।
মন্ত্রী জানান, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে হলে আমাদের এলাকায় নাফ নদী কিছু নাব্য হারিয়েছে। কাজেই সেখান দিয়ে আমাদের নৌ চলাচল করতে পারে না। মিয়ানমারের অংশ দিয়ে যেতে হয়। যে কারণে এই বিপত্তিটা ঘটেছে।
২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের পার্লামেন্টারি নির্বাচনে অং সান সুচির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ৪১২ আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয় পায়। কিন্তু অধিবেশন শুরুর প্রাক্কালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বন্দী করা হয়েছে ২৫ হাজার মানুষকে। জান্তার হামলায় মিয়ানমার জুড়ে অন্তত ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মিসহ দেশটির একাধিক বিদ্রোহী সংগঠন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। এর ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিমএপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে সঠিকভাবে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করা হয়নি। তার নিজের বক্তব্য শোনার পরই বোঝা যাবে, তার সম্পদ অবৈধ কি না। আগে অভিযুক্তের বক্তব্য শুনতে হবে। যদি সে জবাব দিতে না পারে, তাহলে বোঝা যাবে, সে অবৈধ সম্পত্তির অধিকারী হতে পারে।
সংসদ সদস্য আনার হত্যার তদন্তের বিষয়ে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় আসাদুজ্জামান খান বলেন, সঠিক তদন্ত চলছে। গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) কোনো চাপ দেয়া হচ্ছে না।