প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি এই সময়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এতগুলো তাজাপ্রাণ ঝরে গেল। সেগুলোতো আর ফিরে পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন-সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম কেন চালানো হলো; প্রশ্ন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমি জানি না অপরাধটা কী আমাদের। যে ইস্যুটা নেই, সেটা নিয়ে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে কে কী অর্জন করল সেটাই আমার প্রশ্ন।
বুধবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় মৎস্য খাতে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদক হিসেবে ছিল ৬টি স্বর্ণ, ৮টি রৌপ্য ও ৮টি ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে আমি বেঁচে আছি। আমি জানি আপনজন হারালে কী কষ্ট হয়। মানুষ একটা শোক সইতে পারে না; আর আমি তো সবাইকে হারিয়ে বেঁচে আছি।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, কষ্টের বিষয় হলো, যেখানে কোনো ইস্যুই ছিল না.. যে কোটা আমি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে দিয়েছিলাম… হাইকোর্টের রায় এটাকে যখন আবার নিয়ে আসা হয়, তখন আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করি। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির তারিখ নির্দিষ্ট করে দেয়। কাজে আবার সেই কোটা ফিরে আসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে ক্ষমতা তো ভোগের বস্তু না। আমি তো আরাম-আয়েশ করার জন্য ক্ষমতায় আসিনি। আমি দিনরাত পরিশ্রম করেছি বাংলাদেশকে উন্নত করতে। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেই মর্যাদা কেন নষ্ট করা হলো, সেটার বিচারের ভার আমি দেশবাসীর কাছে দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে। সেই বাংলাদেশে আবার রক্ত ঝরবে, কেন এই রক্ত ঝরা। আজকে আমরা যাদের হারিয়েছি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান।