ঢাকা জেলা ও মহানগর, গাজীপুর ও নরসিংদীতে আগামীকাল রবিবার থেকে কারফিউ শিথিলের সময় আরও বাড়লো। আজ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী চাইলে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

তিনি বলেন-সম্প্রতি তারা (আন্দোলনকারীরা) আপনিসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন। পরিস্থিতি যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে তাতে করে আপনারা চিন্তিত, জনগণও চিন্তিত। যে জায়গায় পরিস্থিতি পৌঁছেছে তাতে করে আপনিসহ অন্যদের সেই সেক্রিফাইস করার সময় আছে কি না যে মন্ত্রিত্ব থেকে আপনারা সরে দাঁড়াবেন– একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজন হলে যদি এরকম কোনো সিচুয়েশন আসে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন… আমরা সবসময় দেশের জন্য কাজ করি, আমরা সেটা (পদত্যাগ) করব যদি প্রধানমন্ত্রী মনে করেন।’

শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তিনি জানান, জামায়াতে ইসলাম ও বিএনপি সবসময় ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ছিল। শুরু থেকেই তারা দেশকে অকার্যকর করতে চেয়েছিল। যে কারণে ছাত্রদের কাছে আহ্বান, তারা যাতে লেখাপড়ায় ফিরে যান। কারণ তাদের সব দাবি পূরণ করা হয়েছে। এরপরেও যদি তাদের কোনো দাবি থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরজা সবসময় খোলা আছে। অন্য জেলায় জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) কারফিউ শিথিল বা বলবৎ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলে দিই, আমাদের শোকের মাস চলছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস। মাসটিকে শোকের মাস হিসেবে পালন করি। বঙ্গবন্ধু শাহাদতবরণ করার পর থেকে এটা চলছে।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ক্রমে বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। সর্বশেষ গত বুধবার থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অর্থাৎ ১৩ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল ছিল।