Print

সারাদিন

‘কারিকুলাম বাতিল’ বলে প্রচার করছে, সঠিক নয়: এনসিটিবি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ৬:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নতুন কারিকুলাম বাতিল করা হয়েছে বলে দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর তা নিয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ফরহাদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কারিকুলাম বাতিল হওয়ার যে সংবাদ একটি টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে তা সঠিক নয়। কারিকুলাম সংক্রান্ত একটি ওয়ার্কশপ (কর্মশালা) বাতিল করা হয়েছে। এটাকে তারা ‘কারিকুলাম বাতিল’ বলে প্রচার করছে, যা মোটেও সঠিক নয়।

শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে গণমাধ্যমে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘একটি বেসরকারি টেলিভিশন থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। আমি তাকে জানিয়েছিলাম নতুন কারিকুলাম নিয়ে বগুড়ায় একটি কর্মশালা আছে, সেটি আমরা স্থগিত করেছি।

তিনি জানান, কারিকুলাম বাতিল করার এখতিয়ার এনসিটিবির নয়। এটি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। সরকারের সিদ্ধান্তে এই কারিকুলাম গ্রহণ করা হয়েছে, এখন এটি বাতিল করতে হলে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

২০২২ সাল থেকে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হয়। চলতি বছর থেকে সব শ্রেণিতে এটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই কারিকুলামের শুরু থেকেই নানা বির্তক শুরু হয়। অভিভাবকরা এটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

নতুন কারিকুলামে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৬০ শতাংশ। আর সামষ্টিক মূল্যায়ন অর্থাৎ পরীক্ষা হবে ৪০ শতাংশ। এছাড়া শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা, শিল্পকলায় শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। আর ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের শিখনকালীন মূল্যায়ন ৬০ শতাংশ ও সামষ্টিক মূল্যায়ন বা বছর শেষে পরীক্ষায় থাকবে ৪০ শতাংশ। বাকি বিষয় জীবন ও জীবিকা, তথ্যপ্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতিতে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে শতভাগ।

Nagad
Nagad

শিক্ষার্থীদের এখন নবম ও দশম শ্রেণিতে অভিন্ন সিলেবাসে পড়ানো হবে। এর মধ্যে নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের শিখনকালীন মূল্যায়ন ৫০ শতাংশ আর সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে ৫০ শতাংশ। বাকি বিষয়গুলোর শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে শতভাগ। একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য- এই তিন বিভাগে ভাগ হবে। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমতো বিভাগ বেছে নেবে।