প্রকাশিত: ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের দেনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০ কোটি ডলার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন-বর্তমান সরকার একটি দৃঢ় ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর অধীনে চলমান কার্যক্রম স্থগিত করেছি। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধিত) আইন, ২০২৩-এর ৩৪ক ধারায় সরকার কর্তৃক বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা স্থগিত করেছি। প্রয়োজনে এ আইন দুটো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশোধন/বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এখন থেকে সব ধরনের ক্রয় প্রক্রিয়ায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধান ব্যবহার করা হবে।
বুধবার (২১ আগস্ট) বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এই তথ্য জানিয়ে এক বিলিয়ন ডলার সহায়তা চান তিনি। সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাংকের চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রণয়ন বেগবান করা হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানি বাবদ বর্তমান বৈদেশিক মূল্য পরিশোধের দায় প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সাপোর্টের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের কাছে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছি।
এদিকে বক্তব্যে আবদৌলাতে সেক জানান, তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আন্তরিক। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে প্রস্তাব পেলে আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, ডলার ও নগদ অর্থ সঙ্কটে গ্যাস, বিদ্যুৎ, কয়লা ও জ্বালানি তেলের আমদানির মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় এই দেনা জমেছে।