প্রকাশিত: ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দেশজুড়ে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। এরইমধ্যে, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের নীচু এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। হচ্ছে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত।
এতিকে এই মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে কক্সবাজারে ঝোড় হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। এতে পর্যটনের শহর কক্সবাজারের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন গ্রামের মানুষ।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত ২ দিন ধরে উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে জনজীবনে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খাল-বিলে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমন চাষি ও বর্ষাকালীন সবজি চাষিরা।
ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পটুয়াখালী পায়রাসহ সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মাছধরা ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, পটুয়াখালী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, ভারী বৃষ্টিতে টেকনাফ ও উখিয়ার অন্তত ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফের ৬০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। টেকনাফ সদর, হোয়াইক্যং, হ্নীলা, বাহারছাড়া ও সাবরাং ইউনিয়নের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। উখিয়ার রাজাপালং, জালিয়াপালং, হলদিয়াপালং ও পালংখালী ইউনিয়নের আরও ২০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়া তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, ভারী বৃষ্টিতে টেকনাফের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের ত্রাণ তৎপরতা দেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারের অনেক এলাকা পানির নিচে। কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। এছাড়া ঝিলংজায় পাহাড় ধসে নিহত তিনজনের পরিবারকে ৭৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ চলছে।