Print

সারাদিন

নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে যা বললেন বদিউল আলম

প্রকাশিত: ৫:৪২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আওয়ামী লীগ ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন-আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত না হলে তাদের বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে সেটি অগ্রহণযোগ্য হবে না।

ড. বদিউল আলম আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন দলীয় কর্মীদের মতো কাজ করেছে। একটা নির্বাচন আয়োজন করা দরকার, তাই করেছে তারা। সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তারা। আদালতের নির্দেশও অমান্য করেছে তারা। এটি কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল একটি রুটিন সরকার, তিন মাসের সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেটি নয়। তাদের চারদিকে জঞ্জাল।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের অনেকেই পালিয়ে গেছে। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হলে সে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না।

তিনি বলেন, আমি ডামি, একতরফা ও মধ্যরাতের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ এ দেশে নির্বাচনি ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে। গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় সবাই অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিভিন্ন অজুহাতে দলীয়করণ করে সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঘন করেছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। অতিউৎসাহী হয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। তাই নির্বাচনি অপরাধে অভিযুক্ত সব ব্যক্তিদের বিচারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগকে বিলুপ্ত করার পক্ষে কেউ নেই। বিশেষ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের বিচার সম্পন্ন না হলে এবং তারা পুনর্গঠিত হতে না পারলে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে না।

Nagad
Nagad

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিগত তিন জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ১০ লাখ মানুষ সবাই নির্বাচনি অপরাধী। তাদের শাস্তি হওয়া যৌক্তিক।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরপিও আইন ও নির্বাচন কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়া সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হবে।

সংবিধানের সংস্কার করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে সংসদ দরকার। অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব নয়। সংবিধান সংস্কার মানে সব কিছু বাদ দিয়ে দেওয়া নয়। সংবিধান বাতিল করে, গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন করা সম্ভব।