প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
নোয়াখালীতে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অভিযোগ প্রমাণ না করতে পারায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালী জেলা জজ আদালতে বিশেষ বিচারিক আদালতের সিনিয়র জেলা জজ মো. আহসান তারেক এই রায় দেন। ২০১৪ সালে নোয়াখালী জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লব মামলাটি দায়ের করেন।
তারেক রহমানের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ বি এম জাকারিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার বাদী একরামুল হক বিপ্লবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাড. এবিএম জাকারিয়া, অ্যাড. রবিউল হাসান পলাশ, অ্যাড. নুরুল আমিন, অ্যাড. আবদুল মান্নান ভুঁইয়া, অ্যাড. মাসুদ হাসান।
তারেক রহমান ন্যায় বিচার পেয়েছেন মন্তব্য করে বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাসসহ দলের নেতাকর্মীরা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার, খুনি, পাকিস্তানের বন্ধু বলে বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে অস্বীকার করে দেশের সার্বভৌমত্ব নস্যাতের অপচেষ্টা করেন। তার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে আসামি করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নম্বর আমলি আদালতে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব বাদী হয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন। মামলা তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিকদার মো. সাইফুল ইসলাম ও এসআই মো. জসিম উদ্দিন ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।