প্রকাশিত: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসব রোববার (১৩ অক্টোবর) শেষ হবে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। মর্ত্যলোক ছেড়ে বিদায় নেবেন মা। অশ্রুসজল চোখে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বিসর্জন দেবেন প্রতিমা। ভাঙবে মিলনমেলা।
বিজয়া দশমীতে সারাদেশে স্থানীয় আয়োজন ও সুবিধামতো সময়ে বিজয়ার শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। সর্বত্র বিসর্জন শেষে ভক্তরা শান্তিজল গ্রহণ করবেন। বিসর্জনের উদ্দেশ্যে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গন থেকে কেন্দ্রীয় বিজয়া শোভাযাত্রা বের হবে বিকেল ৪টায়। এর আগে রাজধানীর ২৫২টি পূজামণ্ডপের অধিকাংশ এসে জমা হবে পলাশী মোড়ে। সেখান থেকে সম্মিলিত বাদ্যি-বাজনা, মন্ত্রোচ্চারণ ও পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিজয়ার শোভাযাত্রা। এর পর সদরঘাটের ওয়াইজঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীতে একে একে বিসর্জন দেওয়া হবে প্রতিমা।
বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত হবে বিশেষ সংখ্যা ও নিবন্ধ।
বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে স্বাভাবিক নিরাপত্তার পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশও মোতায়েন থাকবে। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, পলাশী মোড় ও বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় তিনটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। পলাশীর মোড়, রায় সাহেব বাজার ও ওয়াইজঘাটে স্থাপন করা হয়েছে তিনটি ওয়াচ টাওয়ার। এছাড়া ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম ও সোয়াট দল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
গতকাল শনিবার ছিল মহানবমী। নবমী তিথিতে বিহিত পূজা এবং দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এদিন সকাল ৬টা থেকে হয় নবমী বিহিত পূজা। ১০৮টি বেলপাতা, আমকাঠ, ঘি দিয়ে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে দেওয়া হয় আহুতি। এদিকে বিসর্জনের ক্ষণ এগিয়ে আসায় সবার মধ্যে ছিল বিদায়ের সুর। এবার তিথির কারণে মহানবমী পূজার পরই দশমীর বিহিত পূজা এবং দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দশমী পূজায় প্রতিমার হাতে জরা, পান, শাপলা ডালা দিয়ে করা হয় আরাধনা। পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন ভক্তরা। সন্ধ্যায় আরতি শেষে দেবীর বন্দনায় প্রতিটি পূজামণ্ডপে বিষাদের সুর বাজতে শুরু করে।
মহালয়ার মধ্য দিয়ে গত ২ অক্টোবর এবারের দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছিল। ওই দিন থেকেই দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হয়। এর পর গত বুধবার ষষ্ঠী থেকে পাঁচ দিনের যে দুর্গোৎসব শুরু হয়েছিল, আজ রবিবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ আয়োজন। এ বছর সারা দেশে ৩১ হাজার ৪৬১ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়। এর মধ্যে ঢাকায় ২৫২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়।