Print

সারাদিন

ঘূর্ণিঝড় দানা: উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব শুরু, সরিয়ে নিচ্ছে মানুষ

প্রকাশিত: ১০:১২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২৪

সারাদিন ডেস্ক

প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ‘দানা’। ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের মধ্যবর্তী জায়গায় হবে ল্যান্ডফল। এ অবস্থায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে দুই রাজ্যেই। বঙ্গপোসাগরে উদ্ভূত প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার আগমন এবং তার জেরে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তৎপরতা শুরু করেছে ওড়িশার রাজ্য সরকার। রাজ্যের ঝুঁকিতে থাকা বিভিন্ন থেকে মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ জন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, শেষমুহূর্তে অভিমুখ না বদলালে দিঘা থেকে মোটামুটি ২০০ কিলোমিটার দূরে ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড় দানা। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকেই দিঘায় সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। রয়েছে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও। দিঘাসহ পূর্ব মেদিনীপুরে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উড়িষ্যায়ও। সকাল থেকেই ভদ্রকের ধামারায় বৃষ্টি ঝরছে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। ধামরা বন্দরের সিইও দেবেন্দ্র ঠাক্কর জানিয়েছেন, ভারতীয় মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তাতে ধামরা বন্দরের ওপর দিয়ে ল্যান্ডফল হবে ঘূর্ণিঝড়ের। সেইমতো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা যাবে উড়িষ্যার ওপর দিয়ে। সেই পরিস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে তিন লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার। ১৪টি জেলার মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যাদের সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাদের খাবারসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে স্থায়ী-অস্থায়ী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওড়িশা রাজ্য সরকারের কর ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মন্ত্রী সুরেশ পূজারী।

কোথায় হবে ল্যান্ডফল?
পূর্বাভাস বলছে, উড়িষ্যার ধামরা এবং ভিতরকণিকার কাছে ল্যান্ডফল হবে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র। ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া মধ্যরাত থেকে শুরু হতে পারে। শুক্রবার সকালের মধ্যে উত্তর উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূল পেরিয়ে যাবে ‘দানা’। আর ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারও ছুঁয়ে ফেলতে পারে।

Nagad
Nagad

শক্তি বাড়িয়ে বুধবার রাতেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে দানা, যা ক্রমশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। ভারতীয় মৌসম ভবনের সাম্প্রতিক বুলেটিন অনুযায়ী, পারাদ্বীপ থেকে প্রায় ২৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। সাগরদ্বীপ থেকে ৩৭০ কিমি দূরে, আর ধামরা থেকে মোটামুটি ৩১০ কিমি দূরে আছে ঘূর্ণিঝড় দানা।