Print

সারাদিন

সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

প্রকাশিত: ৯:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২৪

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা:

যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, প্রায় দুই হাজার শহীদের ত্যাগ ও হাজারো আহত যোদ্ধার বীরত্বের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, দেশে ফ্যাসিবাদী প্রভাব এখনো রয়ে গেছে, যা সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বলেন-আমরা নি‌জেরাও কখনো ভাবি‌নি এতো গুরু দা‌য়িত্ব পাব। ২৪‌শে এতো রক্তপাত হওয়ার পরও আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি। সংগ্রাম য‌দি শেষ হ‌তো তাহ‌লে মু‌জিববাদী সং‌বিধা‌নের প‌ক্ষে কেউ কথা বল‌তো না, এখনো প্রশাস‌নের ম‌ধ্যে যে ফ‌্যা‌সিবাদী ভূত র‌য়ে গে‌ছে সে‌টি থাকতো না। আমা‌দের লড়াই দীর্ঘ।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে “মওলানা ভাসানী ও নতুন বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ ব‌লেন, টাঙ্গাইলে যে স্টে‌ডিয়াম‌টি র‌য়ে‌ছে সে‌টি শহীদ মারুফ স্টে‌ডিয়াম হি‌সেবে নাম করণ করা হ‌বে। ৫ আগস্ট সশস্ত্র সংগ্রা‌মের ডাক দেওয়ার প্রস্তু‌তি নেওয়া হ‌য়ে‌ছিল। ওইদিন য‌দি গণভবন দখলে নিতে না পা‌রি, তাহ‌লে কাল থে‌কে কাউকে আর নিরস্ত্র হ‌য়ে আসার আহ্বান জানা‌ব না। য‌দি আমা‌দের ওপর অস্ত্রের আঘাত আসে তাহ‌লে আমা‌দের যা কিছু অস্ত্রের সম্ভব তা নি‌য়েই প্রতিহত কর‌ব। কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হা‌সিনা পা‌লি‌য়ে যে‌তে বাধ‌্য হ‌য়ে‌ছিল।

এর আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমলাতন্ত্রটা জনগণের সাথে দূরত্ব বজায় রেখে চলত। জনগণের সেবক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সরকারি সকল কর্মকর্তারা। এজন্য তারা যেন জনগনের পাশে থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবাটা দেন। কোনো প্রভুমূলত্ব জায়গায় না থেকে। দূরত্বটা যাতে কমিয়ে আনা যায় সকল মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং জনগনের এজন্য আমরা কাজ করছি, যাতে কেউ বলতে না পারে কোনো সরকারি কর্মকর্তাদের পাওয়া যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে যে কয়টি স্টেডিয়াম রয়েছে, এর সবগুলোই প্রায় অকেজো। আমরা এ সকল স্টেডিয়াম সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্য বিসিবি থেকে তালিকা নেওয়া হয়েছে।’

Nagad
Nagad

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ারুল আজীম আখন্দ, কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার, ভাসানী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।