প্রকাশিত: ১২:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০২৩ সালে সেবা খাতে দুর্নীতির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। জাতীয় পর্যায়ে এই বছর প্রাক্কলিত ঘুষের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং জিডিপির ০ দশমিক ২২ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে ‘সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।
টিআইবির জরিপ অনুযায়ী, সার্বিকভাবে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন দেশের ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ খানা। আর ঘুষের শিকার হয়েছেন ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ খানা। বিচার বিভাগ, ব্যাংকিং ও ভূমি সেবাখাতেও দুর্নীতির উচ্চ হার বিদ্যমান।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সেবা খাতে মোট প্রাক্কলিত ঘুষের পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “যাদের দায়িত্ব দুর্নীতি প্রতিরোধ করা, তারাই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। ফলে দেশের গ্রামীণ জনগণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাসপোর্ট খাতে দুর্নীতির মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমনকি পুলিশও উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতিতে যুক্ত।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতি রোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে এর কোনো কার্যকর ফল দেখা যায়নি। দুদক এখন অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। পাসপোর্ট অফিসের সিন্ডিকেট-ভিত্তিক দুর্নীতি উচ্চপর্যায়ে সুবিধা নিশ্চিত করছে।”
সেবা খাতে এ ধরনের দুর্নীতি সাধারণ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেবা পেতে খানা বা পরিবারপ্রতি ৫ হাজার ৬৮০ টাকা ঘুস দিতে হয়েছে। ৮ বিভাগের ১৫ হাজার ৫১৫টি পরিবারের তথ্য এই জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৩ মে থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত জরিপ পরিচালনা করা হয়। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়ে আরও বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ে মোট ঘুসের ন্যূনতম প্রাক্কলিত পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। দুর্নীতিবাজদের আগের মতো মানুষ ঘৃণা করে না। দুর্নীতিবাজদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হয়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সভাপতি করা হয়।