প্রকাশিত: ৩:৫৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
বর্তমানে হৃদরোগের সমস্যা একটি সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। কম বয়সীদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বাড়ছে। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাগুলো এই ঝুঁকি বাড়াতে ভূমিকা রাখে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক চাপ, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত তেল-মসলাদার খাবার খাওয়ার কারণে ঝুঁকি আরও বাড়ে। তবে কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টির ঘাটতিও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।
নিম্নে এমন ৫টি পুষ্টির ঘাটতি উল্লেখ করা হলো যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়—
১. ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি-এর অভাব হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ডিমের কুসুম, স্যালমন মাছ, টুনা এবং ফোর্টিফাইড কমলালেবুর রসে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।
২. ম্যাগনেশিয়াম
শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি উচ্চ রক্তচাপ ও অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি ক্লান্তি, প্রদাহ এবং মাইগ্রেনের মতো সমস্যারও কারণ হতে পারে। ম্যাগনেশিয়ামের অভাব পূরণে পালং শাক, স্যালমন, অ্যাভোকাডো, কলা, টকদই, বাদাম ও বীজ ডায়েটে রাখুন।
৩. ক্যালশিয়াম
ক্যালশিয়ামের অভাবে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, যা স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। নিয়মিত দই, দুধ, ফোর্টিফাইড সিরিয়াল এবং সয়াবিনের মতো ক্যালশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
৪. পটাশিয়াম
পটাশিয়ামের অভাবে অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা অ্যারিদমিয়া নামে পরিচিত। এছাড়া পেশি ও হাড়ের সমস্যাও হতে পারে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন আলু, কিডনি বিনস, কলা, অ্যাভোকাডো, দুধ, স্যালমন ও টুনা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে অতিরিক্ত পটাশিয়ামও শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৫. ভিটামিন বি
ভিটামিন বি, বিশেষ করে বি৬, বি৯ (ফোলেট) এবং বি১২ শরীরে লাল রক্তকণিকা তৈরি করে এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত ভিটামিন বি হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। সুষম খাবার খাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করান। সূত্র: বোল্ডস্কাই