Print

সারাদিন

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ সাতজনের খালাস

প্রকাশিত: ১:০৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামের আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সাতজন খালাস পেয়েছেন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।

এছাড়া, মামলায় উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে ছয় আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বাবরের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের ওপর গত ৬ নভেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। সেদিন মামলার বৃত্তান্ত সংবলিত পেপারবুক উপস্থাপনের মাধ্যমে শুনানি শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ। পেপারবুক উপস্থাপনের পর রাষ্ট্রপক্ষ ৮ ও ৯ ডিসেম্বর যুক্তি উপস্থাপন করে। এরপর ৯ ডিসেম্বর থেকে আসামিপক্ষ তাদের যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে। লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয় ১১ ডিসেম্বর।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান।

Nagad
Nagad

প্রসঙ্গত-২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।