Print

সারাদিন

দ্য ইকোনমিস্টের ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার ২০২৪’: বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:১১ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০২৪

সারাদিন ডেস্ক

বৃটিশ প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার ২০২৪’ খেতাব পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়ে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া ঐতিহাসিক গণআন্দোলন ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য এই স্বীকৃতি পেল দেশটি।

বাংলাদেশ ছাড়াও চূড়ান্ত তালিকায় ছিল সিরিয়া, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পোল্যান্ড। তবে দ্য ইকোনমিস্টের সংবাদদাতাদের ‘উত্তপ্ত বিতর্কের’ মাধ্যমে বাংলাদেশের নাম চূড়ান্ত করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকার, যা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল, তার পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রশংসনীয় হলেও তার সরকারের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন, নির্বাচন কারচুপি, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাবন্দি করা এবং দুর্নীতির অভিযোগ ছিল ব্যাপক।

জুলাই ও আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া অভূতপূর্ব আন্দোলনে এই সরকারের পতন ঘটে। এরপর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। সাময়িকীটি জানিয়েছে, এই সরকার সেনাবাহিনী, ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং নাগরিক সমাজের সমর্থনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়েছে।

ইকোনমিস্ট বলেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে ক্ষমতার পালাবদলের সময় প্রতিশোধমূলক সহিংসতার নজির রয়েছে। বিরোধী দল বিএনপিকে দুর্নীতিগ্রস্ত উল্লেখ করে প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে। তবে বর্তমান পরিবর্তনকে আশাব্যঞ্জক বলা হয়েছে।

আগামী দিনে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা, নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে বলে ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Nagad
Nagad

সাময়িকীটি জানিয়েছে, ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার’ বেছে নেওয়া হয় এমন দেশকে, যা ধনী বা সুখী হওয়া নয় বরং পূর্বের ১২ মাসে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি অর্জন করেছে।

২০২৩ সালে এই খেতাব জিতেছিল গ্রীস, যা আর্থিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রশংসিত হয়। এর আগের বছরগুলোতে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য কলম্বিয়া, রাশিয়ার আগ্রাসন রুখে দাঁড়ানোর জন্য ইউক্রেন এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য মালাউই এই সম্মান অর্জন করেছিল।

বাংলাদেশের এই অর্জন কেবল দেশের জন্য নয়, পুরো বিশ্বে গণতন্ত্র ও স্বচ্ছ শাসনের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।