Print

সারাদিন

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫ মামলা, গ্রেপ্তার ১০০: পুলিশের তদন্ত

প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২৫

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:

গত ৪ আগস্টের পর সংঘটিত হামলার মধ্যে ১ হাজার ২৩৪টি ঘটনা রাজনৈতিক এবং ২০টি ঘটনা সাম্প্রদায়িক বলে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়া, ১৬১টি দাবি মিথ্যা বা অসত্য প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, অধিকাংশ আক্রমণ সাম্প্রদায়িকভাবে নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত ছিল।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তথ্যানুসারে, সংখ্যালঘুদের ওপর ১ হাজার ৭৬৯টি হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই হামলাগুলোর মধ্যে জীবন, সম্পত্তি এবং উপাসনালয় ক্ষতির ঘটনা রয়েছে ২ হাজার ১০টি। তবে, পুলিশের তদন্তে ঐক্য পরিষদের বেশ কিছু দাবি মিথ্যা বা অসত্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পুলিশের তদন্তের ভিত্তিতে ঐক্য পরিষদের অভিযোগে ৬২টি মামলা হয়েছে এবং ৩৫ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশের নিজস্ব তদন্তে ৫ আগস্ট থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার আরও ১৩৪টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসবের ভিত্তিতে ৫৩টি মামলা হয়েছে এবং আরও ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে ৪ আগস্টের পর সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে মোট ১১৫টি মামলা এবং ১০০ জনের বেশি গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ।

বিবৃতিতে জানানো হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

Nagad
Nagad

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিরোধে পুলিশ একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করেছে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার ধর্ম, বর্ণ, জাতি, এবং লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।