একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার পর বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাতেও যাবজ্জীবন সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। এছাড়া রেজ্জাকুল হায়দার ও নুরুল আমিনও খালাস পেয়েছেন। এই মামলায় ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা পরেশ বড়ুয়াকে ১৪ বছর এবং আকবর হোসেন, লিয়াকত হোসেন, হাফিজুর রহমান ও শাহাবুদ্দিনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী শিশির মনির।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে ১০ ট্রাক ভর্তি অস্ত্রের চালান আটক করা হয়। এই ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষিত হয়। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা পরেশ বড়ুয়া এবং তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপর আসামিদের আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ বাবরসহ ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন। অন্যদিকে পরেশ বড়ুয়াকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এখন তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

গত ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ছয় আসামি খালাস পেয়েছিলেন। আজকের রায়ের মধ্য দিয়ে ২০০৪ সালের অস্ত্র চোরাচালানের এই মামলাগুলোতে বাবর সম্পূর্ণ খালাস পেলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মামলার রায়ের বিষয়ে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।