Print

সারাদিন

আর্থিক নিরাপত্তা পেলে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন: কামাল আহমেদ

প্রকাশিত: ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা:

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে তাদের মর্যাদা নিশ্চিত হবে না। তিনি বলেন, স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ এবং শক্তিশালী গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। সাংবাদিকরা আর্থিক নিরাপত্তা পেলে স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ময়মনসিংহ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভাগের চার জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কমিশন প্রধান এসব কথা বলেন। এসময় কমিশনের সদস্য মোস্তফা সবুজ ও আক্তার হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।

কামাল আহমেদ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা প্রতিবেদন পেশ করবো। তবে সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারের ওপর সাংবাদিকদেরই চাপ সৃষ্টি করতে হবে। যদি সাংবাদিকরা এই বিষয়ে জোর না দেন, তাহলে কোনো সংস্কারই বাস্তবায়িত হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিক ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে গেছে। অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হলে একক সাংবাদিক ইউনিয়নের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে।’

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান জানান, গণমাধ্যম সম্পর্কে পাঠক, দর্শক ও শ্রোতাদের মতামত জানার জন্য ১ থেকে ৭ জানুয়ারি জাতীয় পর্যায়ে একটি গণমাধ্যম সমীক্ষা পরিচালিত হয়। এতে সারা দেশের প্রায় ৪৫ হাজার পরিবারের মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই সমীক্ষার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সংস্কারের সুপারিশ তৈরি করবো।’

মতবিনিময় সভায় ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার (ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা) প্রায় শতাধিক সাংবাদিক অংশ নিয়ে তাদের মতামত জানান। সাংবাদিকরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, পেশাগত নিরাপত্তা এবং আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

Nagad
Nagad

কামাল আহমেদ সাংবাদিকদের দাবিগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন এবং গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি জোরালো দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের মর্যাদা রক্ষায় আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’

এই মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কাজে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।