প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালানো ব্যক্তিদের আটক করে আইনের আওতায় আনাই ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। সিনিয়র সচিব জানান, এই অভিযানে মূলত পুলিশ বাহিনী নেতৃত্ব দিচ্ছে, সেনাবাহিনী তাদের সহায়তা করছে।
তিনি বলেন, ছয় মাস আগে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এসময় পুলিশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, যার মধ্যে থানাগুলোতে হামলা, নীতিগত ও মানসিক ক্ষতিসহ নানা চ্যালেঞ্জ ছিল। ফলে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ নীতিতে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র সচিব জানান, দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা রুখতে আইনানুগভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘এই অপারেশন যৌথভাবে পরিচালিত হবে এবং একটি ফোকাসড পদ্ধতিতে কাজ করবে।’ আইন প্রয়োগে মানবাধিকার ও পরিবেশের বিষয়গুলো মাথায় রেখে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব জানান, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য একটি কর্মশালা আয়োজন করা হবে, যেখানে মানবাধিকার ও পরিবেশ রক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে অনেক পুলিশ সদস্য ভয়ে ও চাপে অন্যায় কাজে জড়িয়েছেন, আবার কেউ দেশ ছেড়েছেন। তিনি বলেন, “পৃথিবীর যেসব দেশে বিপ্লব হয়েছে, সেখানে পরাজিত শক্তিকে রাখা হয়নি। কিন্তু আমরা অতটা কঠোর হতে চাইনি।”
তিনি জানান, পুলিশ বাহিনীর মনোবল পুনর্গঠনে তাদের কাউন্সেলিং করা হচ্ছে এবং সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘আমরা চাই পুলিশ বাহিনী যেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে পারে,’ – বলেন স্বরাষ্ট্র সচিব।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এই অভিযানের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।