প্রকাশিত: ৭:৫০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান জানান, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে। এছাড়া ১২ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদ দাবি জানিয়েছে, গত ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ, বিচার এবং পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, ২০২৪ সালের নির্বাচনসহ বিগত সময়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারের দাবিও তুলে ধরা হয়েছে।
রাশেদ খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ৭১-এর পর ২০২৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো গণহত্যা চালিয়েছে। জনগণ চায় না আওয়ামী লীগ তৃতীয়বার গণহত্যার সুযোগ পাক।’
গণঅধিকার পরিষদের ৫ দফা হলো-
১. জুলাই-আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিগত ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি, ক্ষতিপূরণ এবং যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
২. জুলাই গণহত্যায় জড়িত বিদেশে পলাতক গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনাসহ সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৩. ফ্যাসিবাদের আমলে উন্নয়নের নামে লুটপাট, অর্থ পাচারে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করা।
৪. জন-আকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কার্যকর সংস্কার নিশ্চিতে অভ্যুত্থানের অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
৫. বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার রেজিমে সংগঠিত গুম-খুন ও ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ভুয়া নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি দলটির পক্ষ থেকে ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই কেন্দ্রীয়ভাবে সরাসরি স্মারকলিপি দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।