বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ। জনগণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চায়, কিন্তু সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ মিলনায়তনে ছাত্রদল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কিন্তু সন্দেহ হচ্ছে, সরকার আদৌ নির্বাচন দিতে আন্তরিক কি না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিবাদের কেউ ক্ষমা চেয়ে রাজনীতি করতে পারবে, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এমন মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। গণহত্যাকারীরা রাজনীতিতে ফিরে এলে জনগণ তা মেনে নেবে না।

তিনি আরও বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল গোছানোর এটা একটা কৌশল কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় কোনো নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমার মন্তব্যের পর অনেকে বলেছিল, আমরা আরেকটি এক-এগারো চাই। কিন্তু সবাই জানে, এক-এগারোর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী বিএনপি। তাই হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আবারও এক-এগারোর চেষ্টা হলে জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না।”

তিনি বলেন, নিজেদের স্বার্থেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায়। যদি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা হারায়, তবে আরেকটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে চাই, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। জনগণ এখন রাস্তায় নামার অপেক্ষায় আছে। সরকার যতদিন পর্যন্ত নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা না করবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।

সভায় বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেন।