প্রকাশিত: ২:৪৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২৫
সারাদিন ডেস্ক
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে ঈদের পর। দলটি ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশের পর এখন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। দলটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবে এবং দলীয় প্রতীক চূড়ান্ত করার জন্য ফোরামে আলোচনা করবে।
এনসিপি ইতিমধ্যে দুটি দফায় ২১৬ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে, যা ভবিষ্যতে বর্ধিত হবে। দলের জাতীয় ও জেলা-উপজেলা কমিটির কার্যক্রমও চলমান থাকবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জুলাই স্পিরিটের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিয়ে দলে যোগ দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত শর্ত অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করার আগে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। যেমন:
১. স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীরা কিছু আসনে জয়লাভ করতে হবে।
২. নির্বাচনে মোট ভোটের ৫ শতাংশ অর্জন করতে হবে।
৩. দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা অফিস প্রতিষ্ঠা করতে হবে, এবং ন্যূনতম ১০০টি উপজেলায় কমপক্ষে ২০০ সদস্য হতে হবে।
এছাড়া, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শর্ত শিথিল করার প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এর অধীনে, নতুন দলগুলোর জন্য জেলা ও উপজেলায় অফিসের সংখ্যা এবং সদস্য সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে, এনসিপি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী জোট করার ব্যাপারে আলোচনা করছে, তবে তারা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করেনি। দলটি তাদের সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তারের কাজ করছে এবং নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা প্রদান করছে।
এ বিষয়ে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দল আত্মপ্রকাশের পর আমরা এখন নিবন্ধনের শর্তাবলির প্রতি গুরুত্বারোপ করেছি। সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তারে মনোযোগ দিয়েছি। রোজার পর এগুলো পুরোদমে চলবে। এরপর নির্বাচন নিয়ে আমরা ভাবব।