প্রকাশিত: ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ, মে ৮, ২০২৫
সারাদিন ডেস্ক
ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়ায় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ চালিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এতে এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার (৭ মে) রাত ১১টার দিকে নিহত সেনার পরিচয় নিশ্চিত করে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, নিহতের নাম ল্যান্স নায়েক দিনেশ কুমার। তিনি ৫ ফিল্ড রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন। এ নিয়ে চলমান সীমান্ত সংঘাতে ভারতের নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে, যাদের মধ্যে ১২ জনই বেসামরিক নাগরিক।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৬ কোর (হোয়াইট নাইট কোর) এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জানায়, “পুঞ্চ সেক্টরে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের সময় ল্যান্স নায়েক দিনেশ কুমার প্রাণ দেন। তার আত্মত্যাগের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই।”
আলজাজিরার বরাতে জানা যায়, বুধবার দিনভর সীমান্তে পাকিস্তানের ব্যাপক গোলাবর্ষণে অন্তত ৪০ জন আহত হন। বিশেষ করে পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুঞ্চ, রাজৌরি, উরি এবং কুপওয়ারা জেলার একাধিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তানের গোলা উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ভেতরের গিঙ্গাল গ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরিত হয়। এতে সালামাবাদ অঞ্চলের অন্তত ১১ জন আহত হন এবং ১৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে গোলাবর্ষণ শুরু হয়। আমরা বাংকারে আশ্রয় নিই। কিছু সময় পর গোলাবর্ষণ আরও তীব্র হয়। ২০২১ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি আর দেখা যায়নি।”
এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের নয়টি স্থানে হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে অন্তত ৩১ জন নিহত ও ৫৭ জন আহত হন বলে জানায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। সেই ঘটনার জেরে শুরু হওয়া উত্তেজনা এখন সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলায় রূপ নিয়েছে।