প্রকাশিত: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২৫
সারাদিন ডেস্ক
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর মধ্যেই পাকিস্তান ভারতের অন্তত ১৫টি শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে দিল্লি সরকার।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দিল্লির বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, বুধবার রাতে ভারতের অবন্তীপুরা, জম্মু, শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাতিন্দা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই ও ভুজ শহরে এই হামলা চালানো হয়। ভারত দাবি করেছে, অধিকাংশ হামলাই তারা প্রতিহত করেছে এবং হামলার ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
পাকিস্তানের এ হামলার পর বৃহস্পতিবার সকালেই পাল্টা আঘাত হানে ভারত। দেশটির দাবি, লাহোরসহ কয়েকটি শহরে সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে চালানো হামলায় রাডার ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বুধবার রাতে ভারতের দিক থেকে আসা ইসরায়েলি প্রযুক্তিতে তৈরি ২৫টি ‘হারোপ’ ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা।
জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার দুই সপ্তাহ পর বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। এই হামলায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তানে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতভর পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় আরও কয়েক ডজন ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারত।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে গুলি চালিয়ে ইসরায়েলের তৈরি ২৫টি হারোপ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর থেকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী এএফপিকে বলেছেন, গত রাতে ভারত একাধিক স্থানে ড্রোন পাঠিয়ে আরও একটি আগ্রাসনের কাজ করেছে। ভারতের ছোড়া একটি ড্রোন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এই সদরদপ্তরের কাছে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, লাহোরের কাছে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ভারতীয় একটি ড্রোন আঘাত করেছে। এতে সেখানে অন্তত চার সৈন্য আহত হয়েছেন। এর আগে, তিনি বলেছিলেন অভিযান এখনও চলছে। ভারতীয় ড্রোনের আঘাতে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের সিন্ধুতে এক বেসামরিক নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় ড্রোনের বিধ্বস্ত স্থলে অনেক মানুষ জমায়েত হয়েছেন। এ সময় অনেকেই সামরিক স্থাপনার কাছাকাছি ভিড় জমান। লাহোরজুড়ে বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।