Print

সারাদিন

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলার তদন্ত শেষ

প্রকাশিত: ৯:০০ পূর্বাহ্ণ, মে ১২, ২০২৫

সারাদিন ডেস্ক

গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (১১ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন আগামী সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই শুরু হয়েছিল। পরে তদন্তে উঠে আসা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মামলায় আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, তদন্ত সংস্থা প্রথমে প্রতিবেদনটি চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে জমা দেয়। এরপর তা পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর।

গত শুক্রবার চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানান, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী সোমবার জমা দেবে বলে আশা করছি।”

এর আগে, ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল এক আদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল।

Nagad
Nagad

এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় এরই মধ্যে তিনবার বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ সময় বৃদ্ধির আবেদন করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল ২৪ জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা প্রথম মামলাটি ছিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, যা গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে ‘মিস কেস’ হিসেবে পরিচিত।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটি ছাড়াও আরও দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। একটি মামলায় তার শাসনামলে গুম ও খুনের অভিযোগ রয়েছে, অন্য মামলাটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত।