Print

সারাদিন

সিন্ধুর পানি নিয়ে ফের ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

প্রকাশিত: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৫

সারাদিন ডেস্ক

জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জেরে টানা ১৯ দিনের উত্তেজনার পর বর্তমানে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বিরাজ করছে। শেষ দুই-তিন দিনে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও, স্থগিত হয়ে যাওয়া ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ পুনরায় কার্যকরের বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। বরং, চুক্তি স্থগিত রাখার বিষয়ে এখনও অনড় রয়েছে ভারত। এই প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ এই নদীর পানির হিস্যা নিয়ে ভারতকে ফের কঠোর হুঁশিয়ারি দিল পাকিস্তান।

রোববার (১৮ মে) জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)–এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, “পাকিস্তানের পানি বন্ধ করার চেষ্টা করা হলে ভারতকে দীর্ঘমেয়াদে এর ফল ভোগ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি আশা করি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। তবে সত্যিই যদি হয়, তাহলে বিশ্ব তার পরিণতি দেখবে এবং আমরা বছরের পর বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যাব। ২৪ কোটিরও বেশি মানুষের পানির অধিকার রুদ্ধ করা যাবে না। কেউ যেন পাকিস্তানের পানি বন্ধ করার সাহস না করে।”

আইএসপিআর প্রধান বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী একটি পেশাদার বাহিনী, যারা রাজনৈতিক সরকারের নির্দেশনা মেনে চলে এবং তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে।

যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে এবং দুই পক্ষের মধ্যে আস্থা তৈরির লক্ষ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ও যুদ্ধবিরতি বিষয়ে আরটি আরবি-কে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে আহমেদ শরীফ বলেন, “আমরা উদ্ধত জাতি নই, আমরা একটি দায়িত্বশীল জাতি। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো শান্তি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় ও বিচক্ষণ রাষ্ট্র পাকিস্তানের জনগণের মনোভাব কী, তা ভালোভাবে বোঝে।”

Nagad
Nagad

এ সময় ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কূটনীতিকদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ওই ঘটনার জন্য পরোক্ষভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারতের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা। জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। এরপর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং তা সংঘাতের রূপ নেয়। চারদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ।