প্রকাশিত: ১১:২০ পূর্বাহ্ণ, জুন ৮, ২০২৫
সারাদিন ডেস্ক
ঈদুল আজহার দিনেও থেমে থাকেনি ইসরায়েলের বর্বর হামলা। গাজা উপত্যকায় গত দুইদিনে (৬ ও ৭ জুন) ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১৭ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন শতাধিক।
ঈদের দিন (৬ জুন) গাজার বিভিন্ন স্থানে চালানো দফায় দফায় বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৪২ জন। আর পরদিন ৭ জুন ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণে প্রাণ হারান আরও ৭৫ জন। এদের মধ্যে গাজার সাবরা এলাকায় একই পরিবারের ১৬ সদস্য মারা গেছেন, যাদের মধ্যে ৬ জন শিশু।
গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগ জানায়, শনিবারের হামলায় আরও অন্তত ৮৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। সঠিক পূর্বাভাস বা সতর্কতা ছাড়াই চালানো হয় হামলা। গাজার বাসিন্দারা একে ‘ঠাণ্ডা মাথার গণহত্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বাসিন্দা হামেদ কেহিল বলেন, “প্রতি ঈদে যেখানে আমরা আনন্দ উদ্যাপন করতাম, এবার সেখানে সন্তানদের লাশ বহন করছি।” আরেকজন হাসান আলখোর বলেন, “নেতানিয়াহুকে আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে এই নৃশংসতার জন্য।”
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করে, তাদের টার্গেট ছিল হামাস নেতা আসাদ আবু শারিয়া, যিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরিচালিত হামলায় অংশ নিয়েছিলেন।
ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৭৭ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি। হতাহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানালেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, হামাস নির্মূল ও জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।