প্রকাশিত: ১:০২ অপরাহ্ণ, জুন ৮, ২০২৫
সারাদিন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্কের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য। ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ এবং তিনি আর তা জোড়া লাগাতে চান না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “মাস্ক প্রেসিডেন্টের অফিসের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করেছেন। বিরোধীদের পক্ষে গেলে তাকে কঠিন পরিণতির মুখে পড়তে হবে।”
মূলত কর ও ব্যয় সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে বিলটি পাস হওয়ার পর সিনেটে এটি নিয়ে বিতর্ক চলছে। ইলন মাস্ক এই বিলের কড়া সমালোচনা করে একে ‘জঘন্য জঞ্জাল’ বলে উল্লেখ করেন এবং এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে কটাক্ষ করেন ট্রাম্পকে।
ট্রাম্পের প্রশাসনের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডোজ)’-তে মাত্র ১২৯ দিন দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগ করেন মাস্ক। বিলটি তার নেতৃত্বাধীন ডোজের খরচ হ্রাসের পরিকল্পনায় বাধা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পুরনো সম্পর্ক, নতুন দূরত্ব
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারে ২৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন মাস্ক। হোয়াইট হাউসে উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কিন্তু ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে দ্বিমতের জেরে এই সম্পর্ক চূড়ান্ত অবনতির দিকে যায়।
মাস্ক ট্রাম্পকে ছাড়াও এক্সে বিতর্কিত আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলার মূল চরিত্র জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেও ইঙ্গিত করেন। যদিও পোস্টটি পরে মুছে ফেলেন এবং এপস্টেইনের আইনজীবী অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ট্রাম্পের পাল্টা বার্তা
ট্রাম্প তার নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ মাস্ককে ‘পাগল’ বলে মন্তব্য করেন এবং ফেডারেল সরকারের সঙ্গে মাস্কের চুক্তি বাতিলের হুমকি দেন।
ইলন মাস্ক ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তিনি কয়েকজন ট্রাম্প-বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারেন। ট্রাম্পও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনও ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে সমর্থন করলে মাস্ককে মারাত্মক পরিণতির মুখে পড়তে হবে।