বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, চামড়া রপ্তানিতে এখন শুধু ভারত ও চীন নয়, ইউরোপীয় বাজারেও প্রবেশের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে বগুড়া শহরের কলোনি জামিল মাদরাসায় কোরবানির পশুর চামড়ার অস্থায়ী সংরক্ষণাগার পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “চামড়ার বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে প্রথমবারের মতো সরকার বিনামূল্যে সাড়ে সাত লাখ মণ লবণ মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করেছে। এর ফলে বাজার ব্যবস্থায় একটি সুষম কাঠামো তৈরি হয়েছে। এই উদ্যোগের সুফল আগামী বছর আরও স্পষ্ট হবে।”

চামড়ার দাম নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চামড়ার প্রকৃত দাম কম নয়। সরকার লবণযুক্ত চামড়ার নির্ধারিত মূল্য ঠিক করে দিয়েছে। বরং লবণযুক্ত চামড়া বিক্রি করলে বাজারদর আরও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, দেশের চামড়ার বাজারের মোট মূল্য প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা হলেও, চামড়া সংগ্রহ-সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণে হাসিল বাবদ আদায় হয় প্রায় ৪-৫ হাজার কোটি টাকা। সেই হাসিল ব্যবস্থার অংশীদারিত্বে এতিমখানাগুলোকেও যুক্ত করার চিন্তা করছে সরকার।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় আমরা চামড়ার বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচিত সরকার এ অভিজ্ঞতাকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগাবে।”

এ সময় বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজ, পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা এবং বিসিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।