প্রকাশিত: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আবারও দেশে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এরই মধ্যে সতর্কবার্তা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অপ্রয়োজনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দেশের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি জোরদার করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া ১২ নির্দেশনা হলো:
১. জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে, একান্ত প্রয়োজন হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে সুরক্ষায় নিয়মিত মাস্ক পরতে হবে।
৩. হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন (কনুই বা টিস্যু ব্যবহার করে)।
৪. ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ঝুড়িতে ফেলুন।
৫. সাবান-পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন (২০ সেকেন্ড ধরে) হাত ধুতে হবে।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৭. আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে এবং অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৮. অসুস্থ হলে ঘরে থাকতে হবে, গুরুতর অসুস্থ হলে হাসপাতালে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
৯. সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে নির্দেশনাগুলো প্রচার করতে হবে।
১০. আক্রান্ত ব্যক্তিকে মাস্ক ব্যবহার করতে উৎসাহিত করতে হবে।
১১. রোগীর সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদেরও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
১২. প্রয়োজনে আইইডিসিআর-এর হটলাইন (০১৪০১-১৯৬২৯৩) নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও জানান, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সংক্রমণ বেড়ে গেলে পুনরায় করোনা পরীক্ষা ও আইসোলেশন ব্যবস্থা সক্রিয় করা হবে।