Print

সারাদিন

নিজ উপজেলায় অবরুদ্ধ নুর, সেনাবাহিনী-পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার

প্রকাশিত: ১২:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২৫

সারাদিন ডেস্ক

পটুয়াখালীর গলাচিপায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে কয়েক ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে উপজেলার পাতাবুনিয়া বটতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত ৪টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে নুরুল হক অভিযোগ করেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও গলাচিপা-দশমিনা আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসান মামুনের অনুসারীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই রাতে বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকায় প্রয়াত দলীয় কর্মী বাদল মেম্বারের স্মরণসভা শেষে ফেরার পথে ভিপি নুরের গাড়িবহরের ওপর হামলা চালানো হয়। গাছ ফেলে পথরোধ করে হামলাকারীরা রড ও রামদা নিয়ে হামলা চালায়। এতে অন্তত ৮-১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এক ভিডিও বার্তায় নুর বলেন, “পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসেও সন্ত্রাসীদের সরাতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের গাড়ি থামিয়ে হামলা চালানো হয়, স্থানীয়দেরও মারধর করা হয়।”

তিনি আরও দাবি করেন, “হামলাকারীরা হাসান মামুনের অনুসারী এবং হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। আমি উপজেলা ডাকবাংলোয় আশ্রয় নিয়েছি।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান মামুন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “নুর সম্প্রতি ঠিকাদারি কাজ নিয়ে জেলা বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য দিয়েছেন। এছাড়া তার লোকজন চরবিশ্বাস বাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।”

Nagad
Nagad

তিনি আরও জানান, “আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। অবরুদ্ধ হওয়ার খবরে নিজেই প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।”

গণঅধিকার পরিষদের প্রতিক্রিয়া
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম ফাহিম জানান, “ভিপি নুরকে ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ ডাকবাংলোয় নিয়ে যায়। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় তাকে জেলা শহরে চলে যেতে বলা হয়।”

তিনি বলেন, “বিএনপির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিল, কিন্তু হাসান মামুন এই সম্পর্ক নষ্ট করেছেন। আমরা দুপুরে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করব।”

এ বিষয়ে গলাচিপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সৈয়দুজ্জামান ও গলাচিপা থানার ওসি মো. আশাদুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।