ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।

শুক্রবার (১৩ জুন) জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত জানান, ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ অভিযানের প্রথম দফায় ইরানজুড়ে হামলায় ৭৮ জন নিহত ও আরও ৩২০ জন আহত হয়েছেন।

তেহরান এ ঘটনার পর নাগরিকদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানিদের নিজ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

চলমান এই উত্তেজনার মধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুই দেশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ এবং তেল আবিবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা—যথেষ্ট হয়েছে। এবার থামার সময়। শান্তি ও কূটনীতির জয় হোক।”

এদিকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন এই সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজকের সঙ্গে আলাপে তিনি ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করেছেন, তবে একইসঙ্গে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে হবে। উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখা জরুরি।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, খাতাম-আল-আনবিয়া হেডকোয়ার্টারের প্রধান জেনারেল গোলাম আলি রাশিদ ও আকাশ প্রতিরক্ষা প্রধান আমির আলি হাজিজাদেহ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো।