প্রকাশিত: ১:৩১ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২৫
সারাদিন ডেস্ক
রাজধানীর নতুনবাজারে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের ব্লকেড কর্মসূচিতে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শনিবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে অবরোধ শুরু করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং অফিসগামী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
বেলা ১১টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং আন্দোলনকারীদের দাবি, এতে তিন শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশের অ্যাকশনের পর শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদস্বরূপ রাস্তায় শুয়ে পড়েন। কিছু সময়ের জন্য ছত্রভঙ্গ হলেও তারা পুনরায় সংগঠিত হয়ে অবরোধে ফিরে যান।
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের মূল দুটি দাবি—বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক শূন্যতা কাটিয়ে স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চালুর আহ্বান। তারা ‘প্রত্যাহার বহিষ্কার, তারপর হবে সংস্কার’, ‘অথরিটি স্বৈরাচার, এবার তোরা গদি ছাড়’, ‘প্রাইভেটখাতে শিক্ষাকর, করতে হবে প্রত্যাহার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
ডিএমপির ভাটারা থানার ওসি রাকিবুল হাসান জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাধিক দফা আলোচনা করেও তারা রাস্তা ছাড়তে রাজি হননি। প্রায় আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সড়ক অবরোধ চলছে। পুলিশ ধৈর্য ধরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
ইউআইইউ সূত্র ও শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের জেরে উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ এপ্রিল ইউআইইউ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য সব শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। যদিও ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তা প্রত্যাখ্যান করে ক্যাম্পাসে সরাসরি ক্লাস ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি করে আসছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের যৌক্তিক ১৩ দফা দাবি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষা করে আসছে। উল্টো আন্দোলন দমন করতে বহিষ্কার করা হচ্ছে। গত ২ জুন ৪১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে স্থায়ী ও ১৬ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বাকি একজনকে সতর্কবার্তা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।