ইরানের তেল শোধনাগার, সামরিক স্থাপনা এবং বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলের টানা ১১ দিনের হামলায় প্রায় ৫০০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই তথ্য রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, এসব হামলায় আহত হয়েছেন তিন হাজারেরও বেশি মানুষ।

তবে ইরানের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস ইন ইরান (HRAI) জানিয়েছে, বাস্তবে নিহতের সংখ্যা সরকারের ঘোষণার দ্বিগুণের কাছাকাছি হতে পারে।

গত ১৩ জুন ইসরায়েল হামলা শুরু করে। তেহরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণ ও আগুন লাগার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে।

এদিকে ইসরায়েল জানায়, তারা ইরানের বিরুদ্ধে ‘নজিরবিহীন শক্তি’ প্রয়োগ করছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, ‘তেহরানে যেসব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা হয়েছে, সেগুলো ইরানি শাসনব্যবস্থার প্রতীক।’

বিষয়টিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বক্তব্য, যেখানে তিনি ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি পদক্ষেপ ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের আহ্বান জানান। এর জবাবে ইরানি সামরিক নেতারা ‘চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া’র হুমকি দিয়েছেন।

চলমান এই উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার পরিণতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।