যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলায় ‘কয়েক দশক পিছিয়ে গেছে’। তিনি বলেন, যদি ইরান পারমাণবিক অস্ত্র পেত, তাহলে “তারা নরকে যেত”।

ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘সবশেষ তারা (ইরান) সমৃদ্ধকরণে এগোচ্ছিল। ওই আঘাত যুদ্ধের সমাপ্তি টেনেছে।’

তবে পেন্টাগনের একটি গোয়েন্দা পর্যালোচনায় ট্রাম্পের দাবির সঙ্গে ভিন্ন মত প্রকাশ করে বলা হয়েছে, হামলার ফলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস হয়নি, বরং এটি ‘সম্ভবত কয়েক মাস’ পিছিয়েছে।

ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা প্রসঙ্গে ট্রাম্প ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘দুটি বাচ্চা একই স্কুল প্রাঙ্গণে।’ একইসঙ্গে গাজা পরিস্থিতি নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘গাজা যুদ্ধের ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি হচ্ছে। আমরা একটি চুক্তির একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।’

ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট মার্কিন হামলার প্রশংসা করে বলেন, ‘এই হামলা ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

হেগে মঙ্গলবার শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী ন্যাটো সম্মেলনে আমন্ত্রিত চার গুরুত্বপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক দেশ—জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড—নেতারা অংশ নিচ্ছেন না। বিশেষ করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা সম্মেলনে অংশগ্রহণ বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সমন্বিত এ অনুপস্থিতিকে ন্যাটো ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভবিষ্যৎ কৌশলগত সম্পর্কের জন্য এক অস্বস্তিকর সংকেত হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্সির সূত্র বলছে, দুই পক্ষের টিম বৈঠকের সময় ও বিষয়বস্তু চূড়ান্ত করছে। বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র সহায়তা ও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।