Print

সারাদিন

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল তিন দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২৫

সারাদিন ডেস্ক

রাষ্ট্রদ্রোহ ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বেআইনি হস্তক্ষেপের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে তিন দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৬জুন) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। পরে শুনানি শেষে বিচারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য হাবিবুল আউয়ালের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ মামলাতেই সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদাকে দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ। চার দিনের প্রথম রিমান্ড শেষে আগামীকাল (শুক্রবার) তাকে ফের আদালতে তোলা হবে।

গত ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়—২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল ‘প্রহসনমূলক’। বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি, গুম, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের মাধ্যমে নির্বাচনি প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে রেখে একতরফাভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সহায়তা করেছেন নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিন সাবেক সিইসি (রকিবউদ্দিন আহমেদ, হাবিবুল আউয়াল ও কে এম নুরুল হুদা), ছয় সাবেক পুলিশপ্রধানসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

Nagad
Nagad

পরবর্তীতে মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাত সংক্রান্ত ধারা সংযোজন করা হয়।

মামলায় বলা হয়, ‘সংবিধানিক দায়িত্বে থেকেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতারণার মাধ্যমে নির্বাচন প্রভাবিত করেছেন। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ভোটবিহীন সংসদ গঠন করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।’