Print

সারাদিন

দেশের মাটিতে তৈরি মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডার উদ্বোধন, নতুন যুগে প্রবেশ অটোমোবাইল শিল্প

প্রকাশিত: ২:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের অটোমোবাইল শিল্পে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো র‍্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলো বাংলাদেশে তৈরি জাপানি ব্র্যান্ডের বহুল জনপ্রিয় সাত আসনের ফ্যামিলি এসইউভি—মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডার।

এ উপলক্ষে আয়োজিত জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন র‍্যানকন গ্রুপের গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর রোমো রউফ চৌধুরী ও র‍্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফারহানা করিম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মিতসুবিশি মোটরস কর্পোরেশন-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যাংক ও বেসরকারি খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

৫২ একর জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠা র‍্যানকন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে তৈরি হচ্ছে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর গাড়ি ও যন্ত্রাংশ—মিতসুবিশি, মার্সিডিজ বেঞ্জ, সুজুকি, প্রোটন, জ্যাক, এলজি ও তোশিবা। এবার সংযোজন হলো এক্সপ্যান্ডার, যা দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমে দেশে তৈরি আন্তর্জাতিক মানের এসইউভির একটি মডেল।

মিতসুবিশি মোটরস-এর সিইও তাকাও কাতো এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশে তৈরি এক্সপ্যান্ডার আসিয়ান অঞ্চলের পরীক্ষিত গাড়ি। র‍্যানকনের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরও উন্নত ও নির্ভরযোগ্য গাড়ি তৈরির পথ প্রশস্ত করবে।’

র‍্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় রয়েছে অত্যাধুনিক পেইন্ট শপ, অ্যাসেম্বলি লাইন, প্রশিক্ষিত জনবল ও মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা। এই কারখানায় তৈরি প্রতিটি গাড়িতে থাকবে ৫ বছরের ওয়ারেন্টি এবং ২ বছরের ফ্রি সার্ভিসিং, পাশাপাশি সারা দেশে ১১টি আফটার সেলস টাচ-পয়েন্ট।

Nagad
Nagad

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি বলেন, ‘এই উদ্বোধন শুধু একটি গাড়ির নয়, বরং এটি বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের কৌশলগত অংশীদারিত্ব, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও বন্ধুত্বের প্রতীক।’

অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন মিতসুবিশির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ, যিনি গাড়ির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন পর্বে বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন। ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজন, ইনফ্লুয়েন্সারদের অংশগ্রহণ এবং প্রযুক্তি-প্রেমীদের সরাসরি অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার সুযোগ।

এ আয়োজন দেশের গাড়ি শিল্পকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ‘Made in Bangladesh’ ধারণাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকেরা।