প্রকাশিত: ২:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৫
সারাদিন ডেস্ক
ভারতের আদানি পাওয়ারকে মার্চ ৩১ পর্যন্ত সরবরাহ করা বিদ্যুতের বিপরীতে ৪৩৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। জুন মাসে এই অর্থ প্রদান সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে ভারতের প্রতিষ্ঠানটির পাওনা পুরোপুরি পরিশোধ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।
এই অর্থপ্রদান ছিল আদানি পাওয়ারের জন্য এককালীন সবচেয়ে বড় কিস্তি। এর আগে বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসে গড়ে ৯০-১০০ মিলিয়ন ডলার হারে পরিশোধ করছিল।
বকেয়া ও বিলম্ব ফি পরিশোধের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও আদানি পাওয়ারের মধ্যকার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি এখন পুনরায় আর্থিক ও চুক্তিগতভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ মহলে যে উদ্বেগ ও প্রশ্ন ছিল, তা প্রশমিত হয়েছে বলেও জানা গেছে।
ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোদ্দায় অবস্থিত আদানি পাওয়ারের ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশে মোট সরবরাহকৃত বিদ্যুতের প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করে। বকেয়া মেটানোর পর বাংলাদেশ আদানিকে জানিয়ে দিয়েছে, বোর্ড নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী কেন্দ্রের দুইটি ইউনিট—প্রতিটিতে ৮০০ মেগাওয়াট—চালু রাখতে হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ যদি জুন ৩০-এর মধ্যে পুরনো বকেয়া পরিশোধ করে, তাহলে বিলম্ব ফি মওকুফ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। সময়মতো অর্থ পরিশোধ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ১৮০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ এলসি (Letter of Credit) ও সকল পাওনার জন্য সার্বভৌম গ্যারান্টি চালু করেছে।
বকেয়া নিষ্পত্তির পর ভারতের পক্ষেও এসেছে কাঠামোগত পরিবর্তন। গোদ্দা প্রকল্পটি এখন আর আলাদা সাবসিডিয়ারি নয়; এটি আদানির মূল ইউনিটে একীভূত করা হয়েছে। এতে পরিচালনা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই একীভূতকরণ ও বাংলাদেশের সময়মতো অর্থ পরিশোধ আদানির ক্রেডিট রেটিং “এএ” থেকে “এএ+” উন্নীত করতে সহায়ক হবে, যার ফলে কোম্পানির ভবিষ্যতের ঋণ ব্যয় কমে আসবে।