প্রকাশিত: ১২:৪২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২৫
সারাদিন ডেস্ক
চলতি বছর যেন নানা দিক থেকে চাপে আছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। বছরের শুরুতেই নিজ বাসভবনে হামলার শিকার হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও বড় ধাক্কা এলো আদালতের রায় থেকে। উত্তরাধিকারসূত্রে দাবি করা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি এখন হারানোর মুখে এই বলিউডের ‘নবাব’।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট সাইফ আলি খানের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এর ফলে পতৌদি পরিবারের সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৪ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকার ঘোষণা দেয়, ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের সম্পত্তি ‘এনেমি প্রোপার্টি অ্যাক্ট ১৯৬৮’-এর আওতায় শত্রু সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ, নবাবের বড় কন্যা আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকাপাকি ভাবে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন। এই ভিত্তিতে সরকার সম্পত্তিটি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেয়।
এর বিরুদ্ধেই ২০১৫ সালে সাইফ আলি খান আদালতে আবেদন করেন। প্রায় এক দশক ধরে মামলা চললেও, ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালত ওই সম্পত্তির ওপর থাকা স্থগিতাদেশ তুলে নেয়। আর ২০২৫ সালের জুলাইয়ে সাইফের আবেদন সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দেন বিচারপতিরা।
শত্রু সম্পত্তি আইন কী?
১৯৪৭ সালে ভোপাল ছিল এক প্রিন্সলি স্টেট। যার শেষ নবাব ছিলেন হামিদুল্লা খান। তিনি সাইফের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদির মাতামহ। তার তিন কন্যার মধ্যে যিনি বড়, সেই আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান। দ্বিতীয় কন্যা সাজিদা সুলতান ভারতেই থেকে যান। বিয়ে করেন সাইফের দাদা ইফতিকার আলি খান পতৌদিকে। এর ফলে সাইফের দাদা ওই সমস্ত সম্পত্তির আইনত উত্তরাধিকারী হয়ে যান।
২০১৯ সালে আদালত জানিয়ে দেয়, সাজিদা সুলতান ওই সম্পত্তির বৈধ উত্তরসূরি। এবং তার নাতি সাইফ আলি খানের সেই সম্পত্তিতে অংশ রয়েছে। কিন্তু আবিদা পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় সরকার এটিকে শত্রু সম্পত্তি বলে দাবি করে। আর এই সম্পত্তির ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর থেকেই নতুন করে সমস্যা দেখা দেয়।