আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩

ইবিতে নির্যাতনের প্রমাণ তদন্ত প্রতিবেদনে
ছাত্রীর আর্তনাদে উল্লাস করে নির্যাতনকারীরা
পানি চাইলে ময়লা গ্লাস চেটে পরিষ্কার করতে বাধ্য করা হয় * চিৎকার করলে মুখে গামছা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় * নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করেন ঊর্মি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি। এতে নবীন সেই ছাত্রীর ওপর অমানবিক নির্যাতন এবং তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের প্রমাণ মিলেছে। মারধর-অত্যাচারের সময় ছাত্রীটি যখন আর্তনাদ করছিলেন তখন অট্টহাসি আর উল্লাসে মেতেছিল নির্যাতনকারীরা। এছাড়া চিৎকার করলে তার মুখে গামছা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে পিপাসায় কাতর হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী ছাত্রী। পানি চাইলেও তাকে দেওয়া হয়নি। উলটো ডাইনিংয়ে নিয়ে পরিত্যক্ত ময়লা গ্লাস চেঁটে পরিষ্কার করতে বাধ্য করা হয়। পুরো ঘটনায় সবচেয়ে উগ্র ভূমিকায় ছিলেন মীম ও ঊর্মি নামের দুই ছাত্রী। ১১ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের লিখিত তথ্য-প্রমাণসহ শতাধিক পৃষ্ঠার রিপোর্ট দিয়েছে তদন্ত কমিটি। রোববার সকাল ১০টায় তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আলীবদ্দীন খান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান যুগান্তরকে বলেন, সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশনা মোতাবেক উপাচার্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আমরা সেই কমিটির রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। প্রতিবেদনের কপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর মহামান্য হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দেবেন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। সূত্র: যুগান্তর

২৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৩ কোটি ডলার

চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম ২৪ দিনে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ১৩৩ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার ইউএস ডলার। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১৪ হাজার ২৩১ কোটি টাকা। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। গত জানুয়ারিতে মোট ১৬৬ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারির প্রথম ২৪ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২২ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১০৭ কোটি ৪৩ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ লাখ ডলার।রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করা। পাশাপাশি অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, মোবাইল মানি ট্রান্সফার কোম্পানির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা। সূত্র: সমকাল

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠানো টাকা যাচ্ছে হুন্ডির দখলে

বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষ উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় তিন মাস আগে স্টুডেন্ট ফাইল খোলা এবং সেবা বন্ধ করে দেয়ার পর বিপদে পড়েছে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা। অনেকেই বিকল্প হিসাবে টিউশন ফি এবং পড়াশোনার খরচ এখন অবৈধ পথে হুন্ডি করে পাঠাতে শুরু করেছেন। বহ্নি আক্তারের বড় ছেলে গত বছরের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করতে গেছে। সেই সময় একটি বেসরকারি ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল খুলে ছেলের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি এবং অন্যান্য খরচ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরের পর থেকে তারা আর ব্যাংকিং চ্যানেলে ছেলের কাছে পড়াশোনার খরচ পাঠাতে পারছেন না। ‘’প্রতিমাসে ছেলের বাসা ভাড়া, যাতায়াত, খাবারের টাকা পাঠাতে হয়। ছয়মাসে একবার সেমিস্টার ফি দিতে হয়। আগে তো সহজেই ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এখন আমরা এদিকে পড়েছি বিপদে, আর আমার ছেলে ওদিকে আছে বিপদে,‘’ বলেছেন বহ্নি আক্তার। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

Nagad

এমআরটি-৫ সাউথে প্রতি কিলোমিটারে খরচ পড়বে ৩০০০ কোটি টাকা

প্রকল্পের ব্যয় সংশোধনে ৬০০ মিলিয়ন ডলার খরচ কমলেও, এমআরটি-৫ (দক্ষিণ রুট) নির্মাণে প্রতি কিলোমিটারের খরচ এর উত্তরের রুটের চেয়ে ৪৬ শতাংশ বেশি পড়বে।টাকার মান কমার কারণে এমআরটি লাইন-৫ (দক্ষিণ রুট) তৈরিতে দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেল লাইন-১-এর চেয়েও ৭৯ শতাংশ বেশি খরচ হবে। এমআরটি লাইন-৫ (দক্ষিণ রুট)-এর প্রতি কিলোমিটারের নির্মাণ ব্যয় তিন হাজার ১৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ৩১.২৪১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-১-এর প্রতি কিলোমিটারের নির্মাণ ব্যয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৮২ কোটি টাকায়।গাবতলী থেকে আসাদগেট, পান্থপথ, হাতিরঝিল ও আফতাব নগর হয়ে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ১৭.৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রোরেল নির্মাণ করতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসিএল) প্রাথমিক ব্যয় প্রাক্কলন করেছে ৪.৯ বিলিয়ন ডলার বা ৫২ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা।রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ডিএমটিসিএল আয়োজিত এমআরটি লাইন-৫-এর (দক্ষিণ রুট) স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালায় প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয়ের এই তথ্য জানান কর্মকর্তারা।
তবে কর্মশালায় প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল ওহাব দাবি করেন, ডলারে বর্তমান দাম, রেট শিডিউল এবং রড, সিমেন্ট ও পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি বিবেচনায় নিলে প্রস্তাবিত প্রকল্পের ব্যয় তুলনামূলকভাবে কম। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

দুবাইয়ে চাঁদপুরের বিল্লালের ব্যায়ামাগারে এক বছরে ৭৪ কোটি টাকার ব্যবসা

২০০২ সালে মামার হাত ধরে দুবাইয়ে আসেন চাঁদপুরের বিল্লাল হোসেন। তবে মামার ব্যবসায় তাঁর মন বসেনি। নিজের কিছু করার ইচ্ছা তাঁকে বারবার তাড়না দিচ্ছিল। কিন্তু ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। বছর ছয়েক পর নিম্ন পদে যোগ দেন দুবাইয়ের আল মিনা রোডের ইরানি ব্যবসায়ীর গড়া ভিআইপি জিম বা ব্যায়ামাগারে। এর মধ্যে বিল্লাল হোসেন নিজেও ব্যায়ামাগারের ওপর প্রশিক্ষণ নেন। ধীরে ধীরে ভিআইপি জিমে জ্যেষ্ঠ প্রশিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পান। এখন ভিআইপি জিমের পুরো মালিকানা তাঁর হাতে। সঙ্গে গড়ে তুলেছেন শরীর গঠনে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্যপণ্য সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠান, যা মূলত জিম ব্যবহারকারী ও স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ ব্যবহার করেন। ভিআইপি ব্যায়ামাগারে কাজ করছেন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ১৮ জন। বাংলাদেশের বডি বিল্ডার মাকসুদা আক্তার মৌ এখন তাঁর অন্যতম কর্মী। আর ভিআইপি ব্যায়ামাগারেন গ্রাহক তালিকায় রয়েছেন দুবাইয়ের মন্ত্রী, এমিরেটস এয়ারলাইনসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। দুবাইয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের অনেক ব্যবসা গড়ে উঠলেও ব্যায়ামাগার এই একটিই। সূত্র: প্রথম আলো

আস্থার সংকট কাটেনি ইসির
আসন নিয়ে হাঁটছে আগের পথেই, ছয়টিতে আংশিক পরিবর্তন, দাবি-আপত্তির সুযোগ ২০ দিন

কুমিল্লা-১০ আসন। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের দূরত্ব ৯১ কিলোমিটার। শুরু হয়েছে কুমিল্লা শহর থেকে। আর শেষ প্রান্ত একদিকে ফেনী সীমান্ত, অন্যদিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সীমান্ত। ওয়ান-ইলেভেন সরকার কুমিল্লা-১১ আসন বিলুপ্ত করে আজব এক সীমানা তৈরি করেছে, যার ভোটারসংখ্যা এখন ৬ লাখ ১৬ হাজার ২৩৩। এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এলাকা নাঙ্গলকোট। এই উপজেলা আগে থেকে পুরোটাই একটা নির্বাচনী এলাকা ছিল। পরে আসন কমানোর কঠিন শিকার হলেন নাঙ্গলকোটবাসী। এ বিষয়ে আপত্তি জানানোর পরও এত বছরে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন।এদিকে বাংলাদেশে আরও অনেক এলাকা নিয়ে একই রকম বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অখন্ডতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় ৬২টি আসন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো আসনের জনসংখ্যার তারতম্য ২৫ শতাংশের বেশি। এ আসনগুলোর পরিবর্তন এসেছিল ২০০৮ সালে। এদিকে গতকাল নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানার খসড়া প্রকাশ করেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এলেও এবার কোনো আসনেই বড় পরিবর্তন না করে আগের পথেই হাঁটছে ইসি। তবে নতুন কয়েকটি প্রশাসনিক সীমানা যুক্ত হওয়ায় খসড়ায় মাত্র ছয়টি আসনে আংশিক পরিবর্তন এসেছে। সীমানার খসড়া নিয়ে ১৯ মার্চ পর্যন্ত দাবি-আপত্তি করার সময় দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, সংসদীয় আসনের সীমানা সংকটের নিরসন দীর্ঘদিনেও হয়নি। বিগত হুদা কমিশনও সীমানা জটিলতা জিইয়ে রেখে বিদায় নিয়েছে। সীমানা জটিলতা নিয়ে অনেক মামলা-অভিযোগ জমা পড়ে ছিল। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে
ভবন ধসের ঘটনায় তদন্ত জোরালো করছে তুরস্ক

তুরস্কের সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজারের অধিক ভবন ধসে পড়ে। ধ্বংস হয় ৫ লাখ ২০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট। এ ঘটনায় তুরস্ক ও সিরিয়া মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত জোরালো করেছে দেশটির সরকার। তুরস্কের বিচারমন্ত্রী বেকির বোজদাগ জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনগুলোর ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত করবে সরকার। পাশাপাশি দায়ীদের আইনের মুখোমুখি করা হবে। খবর রয়টার্স ও বিবিসি। বেকির বোজদাগ জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের অনিয়মসংক্রান্ত বিষয়ে ছয় শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। নির্মাণ ঠিকাদার ও ভবন মালিকসহ এরই মধ্যে ১৮৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব দিয়ারবাকির শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে বেকির বোজদাগ বলেন, ‘‌আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার ও হেফাজতে নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৯ জন নির্মাণ ঠিকাদার, ৭৪ জন যারা বিল্ডিং কোডের আওতায় পড়েন। পাশাপাশি ১৩ জন ভবন মালিক ও ১৮ জন যারা ভবন সংস্কার করেছেন।’ সূত্র: বণিক বার্তা।

অ্যাডিনোভাইরাস: রোগীতে ঠাসা কলকাতা, সতর্কতা নেই ঢাকায়

করোনাভাইরাস না যেতেই আরেক ভাইরাসের প্রকোপে বিপাকে কলকাতা। আক্রান্তদের বেশিরভাগই শিশু, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০। হাসপাতালগুলো রোগীতে ঠাসা; লাগছে ভেনটিলেশন, আইসিইউ। ডিনোভাইরাসের প্রকোপ নতুন কিছু নয়, তবে কলকাতায় এবারের পরিস্থিতিকে ধরা হচ্ছে ‘গুরুতর’।এ রোগের লক্ষণও অনেকটা কোভিডের মত; সর্দি, কাশি, জ্বর, পেটের সমস্যা বা বমি বমি ভাব। তবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে দ্রুত। আক্রান্ত হতে পারে শ্বাসনালী, ফুসফুস।ভাইরাসটি নিয়ে কলকাতায় যে উদ্বেগ আর স্বাস্থ্য প্রশাসনের যে কড়া সতর্কতা, তার ছিটেফোঁটাও নেই বাংলাদেশে। অথচ একই লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে আসছে বহু শিশু। শিশুদের একটি হাসপাতালের পরিচালক বলছেন, নেপথ্যে থাকতে পারে অ্যাডিনোভাইরাস, তবে পরীক্ষার ব্যবস্থাই নেই তাদের এখানে।জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআরের একজন পরিচালক স্বীকার করেছেন, তাদের কোনো নজরদারি নেই। ফলে তারা জানেন না কারা কীভাবে আক্রান্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে উপসর্গ আছে, তাদের মধ্যে কতজন অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত। সূত্র:বিডি নিউজ

নেটওয়ার্ক বিপর্যয়
অপারেটরদের একাধিক ব্যাকআপ রাখা দরকার

দেশে বর্তমানে সচল রয়েছে প্রায় ১৮ কোটি ৮ লাখ মোবাইল সিম। এর ৭ কোটি ৯৩ লাখ সিমই গ্রামীণফোনের; অর্থাৎ মোবাইল ব্যবহারকারীদের ৪২ শতাংশই গ্রামীণফোনের গ্রাহক। গত বৃহস্পতিবার প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে বিপর্যয় ঘটেছিল। এতে বিভিন্ন স্থানে বন্ধ ছিল কল করা বা কল আসা। ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ ছিল। কোটি কোটি গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েন। মোবাইল সিমের সঙ্গে যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান জড়িত, তারাও বিপাকে পড়েন। মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, প্রতিদিন গ্রামীণফোনে প্রায় ৯০ কোটি কল আসা-যাওয়া করে। প্রতি ঘণ্টায় কল আসা-যাওয়ার পরিমাণ ৩ কোটি ৭৫ লাখ। সোয়া দুই ঘণ্টায় প্রায় ৮ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার কল আসা-যাওয়ার কথা। যেহেতু কোথাও সোয়া দুই ঘণ্টার আগেই নেটওয়ার্ক ফিরেছে, তাই বৃহস্পতিবার ওই সময়ে কমপক্ষে ৬ কোটি কল বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। আর মোবাইল সিমনির্ভর আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কত টাকার লেনদেন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে জানা না গেলেও ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার মতো হবে। মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রথমত, যদি টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে ফাইবার কেব্্ল বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে, তাহলে সারা দেশে নেটওয়ার্ক বিপর্যয় হলো কেন? দ্বিতীয়ত, গ্রামীণফোন ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ ফাইবার কানেকশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা দিয়ে থাকে। ধরে নিলাম সাময়িক সময়ের জন্য ফাইবার কানেকশন বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাহলেও তারা মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সার্ভিস দিতে পারত। কিন্তু সেটা হয়নি। কমিশনের উচিত হবে, একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত কারণ জানা। তাহলে ভবিষ্যতে গ্রাহকরা এমন ভোগান্তিতে পড়বেন না।’ সূত্র: দেশ রুপান্তর