কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আন্দোলনরত শিক্ষকদের
মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানে রয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
টানা অষ্টম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সারাদেশ থেকে আগত শিক্ষকরা। বিষয়টির এখনও কোনও সমাধান না হওয়ায় রাস্তা থেকে সরতে রাজি হচ্ছে না আন্দোলনকারীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা তাদের।
বৃহস্পতিবার (২০জুলাই) কয়েক দিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়া বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা জানান, ২০ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করতে হবে। যেখানে শিক্ষা দেন ৫ লাখের বেশি শিক্ষক।


গান-কবিতা আর স্লোগানে এক দাবি–দেশের ২০ হাজার মাধ্যমিক স্কুল জাতীয়করণ করতে হবে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় মিলিত হয়ে এই দাবি আদায়ে ১১ জুলাই থেকে আন্দোলন করছেন হাজার হাজার শিক্ষক। তাদের পরিষ্কার অবস্থান–সরকারের আশ্বাস না পেলে আর ক্লাসে ফিরবেন না তারা।
তাদের দাবি, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় বেতনবৈষম্য কাটাতে হবে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে জাতীয়করণের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তারা জানান, দাবি আদায়ে তারা অনড় অবস্থানে আছেন। এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষকদের দেশের স্বাধীনতাবিরোধী উল্লেখ করে দেয়া শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বক্তব্যের নিন্দাও জানানো হয় শিক্ষকদের এ কর্মসূচি থেকে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) থেকে আন্দোলন শুরু করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। আজ চলছে আন্দোলনের অষ্টম দিন। কর্মসূচিতে আসা অনেকেই ইতিমধ্যে অসুস্থ হয়ে গেছেন। বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমেদ বলেন, আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ফোন করা হয়েছে। তারা আমাদের সবার কথা জানিয়েছেন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে— ২০০৮ সাল থেকে জেলায় জেলায় আন্দোলন চলছে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নেবেন।