‘নির্দেশনা পেলে তারেক-জোবায়দাকে ফেরাতে চেষ্টা চালানো হবে’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২৩

বিচার বিভাগ দিকনির্দেশনা দিলে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরানোর জোর তদবির চালানোর কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান যুক্তরাজ্যে কী স্ট্যাটাসে আছেন, তা মন্ত্রণালয়ের জানা নেই। যদিও এ বিষয়ে একাধিকবার যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। তবে, ব্যক্তিগত তথ্য দেশটি শেয়ার করে না বলে বারবারই ঢাকাকে জানিয়েছে।

বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাকে দেশে ফেরানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো উদ্যোগ নেবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যদি আমাদের (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) অনুরোধ করে অবশ্যই আমরা…। আমরা এরই মধ্যে ব্রিটিশ সরকারকে বলেছি, যারা অবৈধ এরকম লোক আছে, তাদের পাঠাতে। তারা এখনো পাঠায়নি। এটা বরং আপনি আমাদের বিচার বিভাগকে জিজ্ঞাসা করেন। তারা আমাদের দিকনির্দেশনা দেবে। নিশ্চয়ই তখন আমরা জোর তদবির চালাবো। কিন্তু পাঠানোর দায়দায়িত্ব তো ওই দেশের সরকারের।’

তারেক রহমান কী স্ট্যাটাসে লন্ডন আছেন- জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘আমি সেটা বলতে পারবো না। এ মুহূর্তে আমি বলতে পারবো না। আমি আপনাদের মতো সর্বজান্তা না।’

গুলশানের একটি হোটেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা তারা করতে পারে। এটা ফ্রি কান্ট্রি। যে কেউ কাউকে দাওয়াত দিতে পারে।’

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তারেকের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

Nagad

বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমানের ৯ বছর এবং জোবায়দার তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত তারেকের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হলেও ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে লন্ডনে চলে যান।