বাংলাদেশের জন্য আরও ৬১১৮ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করলো বিশ্বব্যাংক
সরকারি ও আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে নতুন করে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার ১১৮ কোটি টাকা) ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। শনিবার (২১ জুন) এই ঋণের অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংক জানায়, এই অর্থ সরকারের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা এবং আর্থিক খাতের টেকসই সংস্কার নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নত পরিষেবা নিশ্চিত করা সহজ হবে।


এর আগে গত শুক্রবার (২০ জুন) বাংলাদেশকে চার প্রকল্পে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), যার পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। চলতি জুন মাসেই দুইটি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার ঋণ পেয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক করতে উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই অর্থায়ন সরকারের নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে শক্তিশালী করবে, যাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ে ওঠে এবং জনগণ আরও ভালো সেবা পায়।’
বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশের রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত বর্তমানে মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। ফলে, জনগণের কাছে মানসম্পন্ন সেবা পৌঁছে দিতে সরকারের সক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হয়। এই কর্মসূচি কর প্রশাসন ও নীতিকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে আরও স্বচ্ছ ও দক্ষ করবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ধ্রুব শর্মা বলেন, ‘এই অর্থায়ন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি, সরকারি সম্পদের সঠিক ব্যবহার এবং দুর্যোগকালে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সহায়তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের চলতি অর্থবছরের বাংলাদেশে মোট ঋণ প্রতিশ্রুতি দাঁড়িয়েছে ৩.০৭ বিলিয়ন ডলার। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে সংস্থাটির মোট সহায়তার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার।