আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মধ্যে, চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতেই হবে: মেডিকেল বোর্ড
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে বলে জানিয়েছে তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক ডা. এস এম সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, এখন খালেদা জিয়ার যে অবস্থা তাতে করে তাঁকে বাসায় নেওয়া যাবে না। এখানকার চিকিৎসকেরা তাঁদের সাধ্য অনুযায়ী যা করার করেছেন। এখন তাঁকে বিদেশে নিতেই হবে। এতে তাঁর জীবন রক্ষা হতে পারে। গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। আজ সোমবার এভারকেয়ার হাসপাতালেই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি জানাতে তাঁর মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সূত্র: প্রথম আলো


১৫০০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত
দেশের মধ্যাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও বগুড়ায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জামালপুর ও নাটোরে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। দ্রুত পানি না নামলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। বরগুনা ও সিলেটে কিছু ফসলের ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। ১৫০০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্তকিশোরগঞ্জ : চার দিনের টানা বর্ষণে হাওরবেষ্টিত জেলা কিশোরগঞ্জে শীতকালীন সবজি, মাষকলাই ও পানের বরজের কমপক্ষে ৩৮ কোটি চার লাখ ৯০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কৃষি বিভাগ এই ক্ষতির হিসাব করেছে। তাদের হিসাব মতে, সবজি, মাষকলাই ও পান মিলিয়ে ৭৫৪ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। সূত্র কালের কণ্ঠ
রাজধানীতে বাণিজ্যিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট
রাজধানীর কাকরাইলের একটি বাণিজ্যিক ভবনে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ভবনটি এস এ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস কার্যালয় বলে জানা গেছে।সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে আগুনের খবর পেয়ে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস।ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, কাকরাইলে এসএ পরিবহনের কার্যালয়ের ৪র্থ তলায় আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে ১০টি ইউনিট কাজ করছে। সূত্র: ইত্তেফাক
পিকে হালদারের প্রথম মামলার রায়
২২ বছরের কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আর্থিক খাত থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা লোপাটে জড়িত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে ২২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পৃথকভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে পিকে হালদারকে ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭(১) ধারায় ১০ বছর এবং অর্থ পাচারের দায়ে ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এসব ধারার সাজা একটার পর একটা চলবে বিধায় পিকে হালদারকে ২২ বছর কারাভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। রায়ে কারাদণ্ড ছাড়াও পিকে হালদারকে দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় ৩৪৮ কোটি, মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় ৬৯৬ কোটি টাকাসহ ১ হাজার ৪৪ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের করা ৫২টি মামলার মধ্যে এটি প্রথম মামলার রায়। রায়ে পিকে হালদার ছাড়াও তার মা, ভাই, বান্ধবী ও আত্মীয়সহ অপর ১৩ জনের প্রত্যেককে দুই ধারায় ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামি পিকে হালদারসহ দণ্ডিত ১০ জন পলাতক রয়েছেন। জেলে বন্দি রয়েছেন চারজন। সূত্র: যুগান্তর
ফাঁস প্রশ্নপত্রে ওরা ডাক্তার
কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার; কেউ হতে চায় ব্যবসায়ী, কেউ বা ব্যারিস্টার’– নচিকেতার সেই সাড়াজাগানো গানের মতোই ভবিষ্যতের পেশা বাছাইয়ে ‘ডাক্তার’ হওয়ার অভিপ্রায় শিক্ষার্থীর হৃদয়ে আজও পুরোভাগে, এক নম্বরে। অনেকের মা-বাবা প্রিয় সন্তানকে চিকিৎসক বানানোর স্বপ্নে থাকেন বিভোর। যে কোনো উপায়ে স্বপ্ন মুঠোবন্দি করতে হাঁটেন অন্ধকার পথে। মেধার ভিত্তিতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সিঁড়ি সন্তান ডিঙাতে পারবে না জেনেই অনেক অভিভাবক ভেড়েন জালিয়াত চক্রের ডেরায়। ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ফাঁসের প্রশ্নে মেধাতালিকায় নাম লেখানো ৩০০ শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা প্রায় সবাই এখন এমবিবিএস পাস করে দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসাসেবা। কেউ কেউ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আবার কেউ গ্রেপ্তার এড়াতে বিদেশে লুকিয়েছেন। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত এমন কয়েকজনকে দেশে ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সহায়তা নিচ্ছে সিআইডি। জোচ্চুরি করে স্বাস্থ্যসেবায় নাম লেখানো চিকিৎসকদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়েছে সমকাল। এতে উঠে এসেছে পিলে চমকানো সব তথ্য।বড় বড় সরকারি কর্তার বাসা ছিল প্রশ্ন ফাঁসের ‘আস্তানা’। এ আস্তানাকে চক্রের সদস্যরা নাম দিয়েছেন ‘বুথ’। ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে নির্দিষ্ট কারও বাসায় ফাঁস করা প্রশ্ন পরীক্ষার্থীকে মুখস্থ করার যে বৈঠক– সেটাকেই বলা হতো ‘বুথ’। কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা তাদের ছেলেমেয়েকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নে ভর্তি করিয়েছেন মেডিকেল কলেজে। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুগ্ম কর কমিশনার, উপসচিব, চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তা। ২০০৫ সাল থেকেই প্রশ্ন ফাঁসের ভুবনে ডা. জে এম সালেহীন শোভনের বিচরণ। ৩০ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, বরিশালে অভিযান চালিয়ে শোভনসহ চক্রের ১৮ চিকিৎসক আটকা পড়েন সিআইডির জালে। তাদের কয়েকজনের কাছে মেলে ব্যক্তিগত ডায়েরি, মোবাইল ফোনসেট ও ল্যাপটপ। নথিপত্র ও জিজ্ঞাসাবাদ-সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সমকাল জানতে পারে, এ চক্রের সদস্যরা সব মিলিয়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার অর্থ-সম্পদের মালিক। শুধু ব্যাংকিং চ্যানেলে তারা লেনদেন করেছে ১২৫ কোটি টাকা। সূত্র: সমকাল
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমছে
বছরের জানুয়ারি-আগস্ট এই ৮ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমেছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওটেক্সার তথ্যের ভিত্তিতে বিজিএমইএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৈশ্বিক মন্দার কারণে বাংলাদেশের পোশাকপণ্যের এই মূল বাজারে চাহিদা কম থাকায় রপ্তানির পরিমাণ কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সেস অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা)-এর তথ্য অনুসারে, এ বছরের প্রথম ৮ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাকপণ্য রপ্তানি করেছে, যার পরিমাণ গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, অন্যান্য পোশাক বাজারের তুলনায় এখন পর্যন্ত মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির অবস্থা ভালো। বছরের শেষ নাগাদ পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে বলে আশা করছেন তাঁরা। সুত্র: আজকের পত্রিকা ।
আদানির কাছ থেকে এখন সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ নিচ্ছে বিপিডিবি
৪০ কোটি বকেয়ার সাড়ে ৭ কোটি ডলার পেয়েছে আদানি
দেশে বিদ্যুৎ চাহিদা এখন দৈনিক ১৪ থেকে সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। এর বড় একটি অংশ আসছে ভারতের আদানি পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে। ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রটি থেকে দৈনিক বিদ্যুৎ আসছে ১২০০-১৪০০ মেগাওয়াট। যদিও চুক্তি অনুযায়ী আদানি থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিতে পারবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। সে হিসেবে একক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আদানির কাছ থেকেই এখন বিপিডিবি সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ কিনছে। দেশের বিদ্যুৎ চাহিদায় আদানি পাওয়ার বড় ভূমিকা রাখলেও এরই মধ্যে বিদ্যুতের বিল বাবদ বকেয়া ৪০০ মিলিয়ন (৪০ কোটি) ডলার ছাড়িয়েছে। যদিও বিপিডিবি বলছে, প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। চলতি অক্টোবর পর্যন্ত ৭৫ মিলিয়ন (সাড়ে ৭ কোটি) ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এ সপ্তাহে আরো বিল পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বিপিডিবির একজন কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে জানান, পরীক্ষামূলক বিদ্যুতের বিল ১৭ মিলিয়ন (১ কোটি ৭০ লাখ) ডলার আগেই পরিশোধ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার পর আদানি পাওয়ার বিপিডিবিতে যে বিল জমা দেয়, তার মধ্যে তিন কিস্তিতে সাড়ে ৭ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। চলতি মাসে আরো পরিশোধ করা হবে। আইপিপিগুলোর বিল পরিশোধ হচ্ছে, তবে তা একটু ধীরগতিতে বলে জানান এ কর্মকর্তা। সূত্র: বণিক বার্তা ।
‘পাঁচ শীর্ষ ব্যবসায়ীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু’
যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচার করা বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘পাঁচ শীর্ষ ব্যবসায়ীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু।’ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অর্থ পাচার করা ১৫ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে দেশটি। এসব ব্যবসায়ীর মধ্যে বাংলাদেশের পাঁচ শীর্ষ ব্যবসায়ী রয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছিল যুক্তরাষ্ট্রেরে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই)। তদন্তে এই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির বিভিন্ন প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই। এফবিআইয়ের তদন্ত তালিকায় থাকা ১৫ জনের মধ্যে একজন সাবেক আমলা রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর একাধিক বাড়ি রয়েছে। তাঁর সম্পদ নিয়ে তদন্ত চলছে। ওই আমলা স্ত্রীর নামে নিউইয়র্কে বাড়ি কিনেছেন বলে জানা গেছে।মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্য নিয়ে সংবাদের প্রথম পাতায় প্রতিবেদন ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী: ‘পত্রপত্রিকা একটু বেশি বাড়াইয়া বলে।’ সূত্র: বিবিসি বাংলা।
২০ টাকার লাইট চারশতে, সাড়ে ৮ হাজারের যন্ত্র ২৮ হাজারে ক্রয়
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এসব অনিয়ম হয়েছে।
বাজারে মিয়াকো কোম্পানির ধুলাবালি শোষণ ও পরিষ্কার করার ভ্যাকুয়াম ক্লিনার খুচরায় বিক্রি হয় সাড়ে আট হাজার টাকায়। অথচ সরকারি একটি কলেজের জন্য একই মডেলের ভ্যাকুয়াম ক্লিনার মেশিন কেনা হয়েছে তিন গুণেরও বেশি দরে, ২৭ হাজার ৮৫০ টাকায়।গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের জন্য কেনা চারটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ক্রয়ে এই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। চারটি ক্লিনারের দাম দেখানো হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৪০০ টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ খাতে সরকারের অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৭৭ হাজার ৪০০ টাকা।অভিযোগ রয়েছে, কেবল এই যন্ত্র নয়, বাজারদরের চেয়ে তিন থেকে ২০ গুণ বেশি দরে কেনা হয়েছে নানা পণ্য।বাজারে ৭০০ টাকায় পাওয়া যায়, এমন ফুটবলের দাম দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৪০০ টাকা, ২০ টাকার বৈদ্যুতিক বাতি কেনা হয়েছে ৪০০ টাকায়।অনিয়মের এখানেই শেষ নয়, স্থানীয় বাজার থেকে সিঙ্গারা কিনে গাজীপুরের একটি খবারের দোকানের রসিদ দিয়ে বিরিয়ানির টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। সূত্র: বিডি নিউজ
আইএমএফের উদ্বেগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘পরিদর্শন দুর্বলতায়’ বেড়েছে খেলাপি
বিশেষ সুবিধা দেওয়ার পরও কমেনি খেলাপি ঋণ। বিপরীতে বেড়েছে ব্যাংক খাতের প্রধান সমস্যা খেলাপি ঋণের পরিমাণ। কোনো প্রান্তিকে কিছুটা কমছে তো পরের প্রান্তিকে আবার রেকর্ড গড়ছে। সবশেষ প্রান্তিকে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে খেলাপি ঋণ। দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। খেলাপি বেড়ে যাওয়ায় প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) সংরক্ষণ করতে পারছে না অনেক ব্যাংক। বড় ধরনের প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েছে দেশের ৮ বাণিজ্যিক ব্যাংক। খেলাপি বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে দুর্বলতাকে দুষছে আইএমএফ। ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল সরাসরি এ বিষয়ে ইঙ্গিত করেছে।সংস্থাটির মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ব্যাংকগুলো নিয়ম ভঙ্গ করে ঋণ দিচ্ছে। বিশেষ গোষ্ঠীকে ঋণ দেওয়ায় তাদের একটা বড় অংশ নিয়মের মারপ্যাঁচে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হচ্ছে। এতে সংকটে পড়ছে ব্যাংক।ঋণ খেলাপি বাড়লেও খেলাপিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের শক্ত অবস্থান অতটা দৃশ্যমান নয়। আবার কাগজে-কলমে পরিদর্শন নিয়েও সন্দেহ পোষণ করেছে আইএমএফ। এ অবস্থায় দেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় খেলাপি ঋণ কমাতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ চায় সংস্থাটি। যার মাধ্যমে ঋণের অনিয়ম দৃশ্যমান হবে। সূত্র: জাগো নিউজ