আপাতত নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোনো ভাবনা নেই: মির্জা ফখরুল
আপাতত নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোনো ভাবনা নেই জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো ভাবনা নেই, ভাবনা একটাই এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আর এছাড়া বাংলাদেশের কোনও মুক্তি নেই। আওয়ামী লীগের পদলেহিত দলগুলো ছাড়া দেশের আর কোনও দল বলছে না—এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে
সাংবাদিকরা আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি—এভাবে শেখ হাসিনার অধীনে কোনও নির্বাচন হতে পারে না। আমরা বলে দিয়েছি সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে।


আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলোও তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, সাজা, নির্যাতন বাড়িয়ে দিয়ে সরকার দেশকে সাংঘর্ষিক অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে।’
‘বিএনপিনেতা এ্যানিকে বাসার দরজা ভেঙে ডাকাতের মতো পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে’ বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। এ্যানিকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, আইন মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষ শাখা খোলা হয়েছে। যাদের কাজ হলো বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা ও গায়েবী মামলার তালিকা করে নির্দিষ্ট কিছু মামলা দ্রুত বিচার করে সাজা দেওয়ার জন্য আদালতকে নির্দেশ দেওয়া। কাজটা শুরু হয়েছে এবং গতকালই ১৫ জন নেতাকে চার বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘কারাগারে বন্দিদের ওপর নিপীড়নের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি কক্ষে দ্বিগুন-তিনগুন বন্দিকে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে। ১৫ দিনের আগে তো নয়ই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ১৫ দিন পরেও বন্দিদের সঙ্গে আত্মীয়-স্বজন দেখা করতে পারেন না। স্বজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিত্যই ঘটছে। খাবার অতি নিম্ন মানের এবং রোগে চিকিৎসা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি নির্যাতন, নিপীড়নের এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাজনৈতিক বন্দীদের সঙ্গে আইনানুগ মানবিক আচরণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।