‘নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি’ গঠন, আছেন ৩০০ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা
আসন্ন জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনের পূর্বে অনিয়ম নিষ্পত্তির জন্য সারা দেশের ৩০০ আসনে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের দিয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ জন্য নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এ সংক্রান্ত একটি চাহিদাপত্র পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়ে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবিনা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচনী অপরাধ, নির্বাচনী আচরণ বিধি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে এমন নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়সমূহ অনুসন্ধান পূর্বক কমিশনের নিকট প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি করা হলো।


প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, ৩০০ আসনের প্রতিটি আসনে সেই জেলার সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজদের দায়িত্ব দিয়ে এ অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি প্রাপ্ত তথ্য বা তার কাছে দাখিলকৃত অভিযোগ বা ঘটনাসমূহ অনুসন্ধান করতে পারবেন। ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংক্রান্ত অভিযোগ ও ঘটনার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার অথবা নির্বাচনি দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনও কর্মকর্তা কমিটির কাছে পাঠানো হলেও তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন কমিশনের কাছে পাঠাবেন।
কমিটি দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে।
অনুসন্ধান কার্য পরিচালনার ব্যাপারে কমিটির চাহিদা অনুসারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা, থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।
অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত জ্বালানি ও আপ্যায়ন ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
এর আগে গত ১ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের সদস্যরা প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন পূর্ব অনিয়মের ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চান। সেই বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছিলেন,আসন্ন জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে বিচারকরা ইলেক্টরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। এটা এবার বন্ধের সময় হবে। সিভিল কোর্ট ভ্যাকেশনের সময় হবে। সিভিল ভ্যাকেশনের কারণে যেন ওই দায়িত্বটা বন্ধ না থাকে। যদি বন্ধ থাকে তাহলে আমাদের ওই কাজটা পিছিয়ে যাবে। এটা জানিয়ে রেখেছি। যাতে ওই সময় ডিসেম্বর মাসে উনারা দায়িত্ব পালন করেন। আর জানুয়ারি মাসে আগের মতো দায়িত্ব পালন করবেন। এতটুকু আলোচনা হয়েছে। উনি বলেছেন এটা বিবেচনায় রাখবেন।
এরপর আইন মন্ত্রণালয় গত ২৩ নভেম্বর বিচারকদের সমন্বয়ে একটি ইলেক্টরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করে।