ইসিতে ‘অভিযোগ জানাতে’ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগের দিন ‘অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসীকাণ্ডে’ ভোটে না আসা বিএনপিকে অভিযুক্ত করে দলটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গেছেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল ইসিতে যায়।
অভিযোগ জানিয়ে বের হয়ে সাংবাদিকদের দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, যারা ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আসতে চান তাদেরকে ভয়-ভীতি দেখানোর জন্যই এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হচ্ছে। তবে ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না। কারণ ভোটাধিকার একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। তাদের (বিএনপি) এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অভিযোগ জানাতে আমারা ইসিতে এসেছিলাম।


হরতাল-অবরোধে অগ্নিসংযোগের কারণে নির্বাচনকে ঘিরে জনমনে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তা দূর করতে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার আহ্বানও জানিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।
এসময় কমিশন সচিবের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়ে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, নির্বাচন বিরোধীদের মশাল মিছিল, লাঠি মিছিল, গণ কারফিউসহ নানা হুমকির কারণে জনগণের মধ্য ভীতি তৈরি হয়েছে।
তারা বলেন, বিএনপি নির্বাচনের পথে হাঁটছে না, তাই নির্বাচন ব্যাহত করার সব প্রচেষ্টাই তারা করছে।
তাই নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষদের মধ্যে একটি আগ্রহ উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। যে কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররা উৎসাহ আগ্রহ নিয়েই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আওয়ামী লীগের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিমও উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া প্রতিনিধি দলে ছিলেন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, উপ দপ্তর সায়েম খান, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারওয়ার।
এদিকে ভোট বর্জনের দাবিতে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। গত দুই মাসে এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৩০০ যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেয়া হয়। এতে চারজন নিহত হয়েছেন।