‘প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে নতুন নতুন অপরাধ দেখা দিচ্ছে, প্রস্তুত থাকতে হবে’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:১২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- প্রযুক্তির উৎকর্ষতা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধও কিন্তু ভিন্ন ভিন্নভাবে হচ্ছে। নতুন নতুন মাত্রায় অপরাধ দেখা দিচ্ছে। সেগুলো যথাযথভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের পুলিশ বাহিনী যেন প্রস্তুত থাকে। এ বিষয়ে আমরা যথেষ্ট যত্নবান এবং নজর দিচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যেকোনও কর্মস্থলে নারী-পুরুষ-শিশু যারাই থাকুক, তাদের আপনজন বিবেচনা করে তাদের প্রতি আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের সেবা করবেন, এটাই সবাই চায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে সরকার গঠন করার পর আমরা সরকারে আছি। সেহেতু একটা স্থিতিশীল পরিবেশ ও গণতন্ত্র বিরাজ করছে। কাজেই, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল মর্যাদা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, পুলিশের ওপর অত্যাচারের রাজনৈতিক মামলাগুলোর দীর্ঘসূত্রিতা থাকে৷ কিন্তু অপরাধীদের সাজা হলে তা দৃষ্টান্ত তৈরি হয়৷ এমন অপরাধ করার সাহস তারা আর পাবে না৷ রাজনীতি বা সন্ত্রাসের নামে জানমালের ক্ষতি করা, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া, জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করা ঠেকাতে হবে৷ এ বিষয়ে পুলিশকে অবিচল থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন হওয়ায়, বিশ্ব আর বাংলাদেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের চোখে দেখে না। বাংলাদেশ বিশ্বে একটা স্থান করে নিতে পেরেছে। এখন উন্নয়নের মডেল হিসেবে দেখে। সেই ভাবমূর্তিটা ধরে রেখে, আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

Nagad

দেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে আজকে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে কেউ আর ওই তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের চোখে দেখে না। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে নিজের একটা স্থান করে নিতে পেরেছে। এখন সবাই বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখে।

তিনি বলেন, এটাকে ধরে রেখে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য আমাদের যেকোনো কাজ বা প্রকল্প বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে যেকোনো অপরাধ মোকাবিলা এবং সাজা নিশ্চিতে যথাযথ দায়িত্ব পালন করা সবার কর্তব্য। কাজেই সেভাবে আপনারা সবাই কাজ করে যাবেন।

ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনের ওপর যে হামলা এবং গণহত্যা চলছে বাংলাদেশের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমি প্রতিটি জায়গায় এর প্রতিবাদ করেছি। এভাবে ফিলিস্তিনি শিশু নারীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার এবং গণহত্যা, শুধু তাই না তাদের খাদ্য, চিকিৎসা, হাসপাতাল সবকিছুর ওপর আক্রমণ করে। এমনকি যেখানে ত্রাণ বিতরণ করা হয় সেখানেও আক্রমণ করা হচ্ছে। এর থেকে জঘন্য ও মানবতাবিরোধী কাজ আর হতে পারে না। এর প্রভাবটা সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে পড়ছে। আমাদের ওপরেও সেই ধাক্কাটা আসছে। যদিও আমাদের চেষ্টা হচ্ছে কীভাবে আমরা এটা মোকাবিলা করব।