থার্টিফার্স্ট নাইটে জাবিতে অভিযান: মদ্যপ অবস্থায় ঢাবি ও বহিরাগত শিক্ষার্থীসহ আটক ৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:০৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২৫

ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অভিযান চালিয়ে মদ্যপ অবস্থায় ৯ জন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে প্রক্টোরিয়াল টিম। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ জন নারী এবং ৪ জন পুরুষ। তাদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি দুই বোতল মদ জব্দ করা হয়েছে।

আটককৃতদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের প্রিয়ন্তি নাগ, পরিসংখ্যান গবেষণা ইনস্টিটিউটের থোয়াইনু প্রু এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের খেংচেং ফু মারমা রয়েছেন। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে উত্তরা ইউনিভার্সিটির আফরিন আশা এবং প্রাইম নার্সিং কলেজের মাসুই মারমাও আটক হন। এছাড়া, জাবির নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের হ্রুই মুইং স্যাং ও কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মণ এবং তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. শিপন হোসেন ও সতীর্থ বিশ্বাস বাঁধনও অভিযানে ধরা পড়েন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম জানান, থার্টিফার্স্ট নাইটে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসিটিভি স্থাপন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের রাত ১০টার মধ্যে হলে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশও নিষিদ্ধ ছিল।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করার পর প্রক্টোরিয়াল টিম সুন্দরবন এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে আটক শিক্ষার্থীদের মদ পানের কথা স্বীকার করতে শোনা যায়। আটককৃতরা জানান, জাবি শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে মদ নিয়ে নিরিবিলি পরিবেশে আড্ডা দেন।

অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, “আটক শিক্ষার্থীদের পরিচয় যাচাই করে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এছাড়া, অভিযানের সময় আরও একটি গ্রুপকে আল-বেরুনী হলের কাছে গভীর জঙ্গলে বারবিকিউ পার্টি করতে দেখা যায়। তাদের আড্ডাস্থলে অ্যালকোহলের গন্ধযুক্ত খালি গ্লাস পাওয়া গেছে। প্রক্টোরিয়াল টিম তাদের দ্রুত স্থান ত্যাগ করে হলে ফেরার নির্দেশ দেয়।

Nagad

৩১ ডিসেম্বরের আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে থার্টিফার্স্ট নাইটে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিক্ষার্থীদের হলের বাইরে অবস্থান নিষিদ্ধ এবং বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।